আপনারা বারবার আসলে আমাদের লজ্জা লাগে : প্রধান বিচারপতি

0
133
ভবন ভাঙতে বারবার সময় চাওয়ায় বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আপনারা তো বারবার আসেন। আপনার নিজেরাও তো বিষয়টি নিয়ে আদালতে দাঁড়াতে দ্বিধা হওয়ার কথা। আমাদের লজ্জা লাগে।

আপনারা আদালতের আদেশ নিয়ে খেলছেন।  এটা খুবই অপ্রত্যাশিত) বলেও জানান আদালত।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

এরপর বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চাওয়ায় তাদের মুচলেকা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মুচলেকা পেলে বিজিএমইএ ভাবন ভাঙতে সময় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। এছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে ২৫ মার্চ বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে ভবন ভাঙতে এক বছর সময় চেয়ে আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বিজিএমইএ’র আবেদনের ওপর আদেশের জন্য মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দিন নির্ধারণ করেছিলেন।

গত বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দেন। তখন ভবন ভাঙতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে আবেদন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে কর্তৃপক্ষকে সাত মাস সময় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

এরপরও বিজিএমইএ ফের আবেদন করায় পুনরায় ছয় মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের ওই সময় মঞ্জুরের পর চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুনরায় এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করেন ভবন কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here