নিউইয়র্ক : ২০০৮ সালের ১৩ মার্চ নিউইয়র্কে কর্মরত সাংবাদিকরা গঠন করেছিলেন ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইনক’। এই প্রেসক্লাবের এক দশক পূর্তি উৎসব পালিত হলো গত ৮ এপ্রিল রাতে। বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে বেলোজিনো পার্টি হলে এই উৎসব-আনন্দ উৎসব হয়েছে। অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক, প্রধান সম্পাদক, মালিক, প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক, ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তা, কমিউনিটি নেতারা আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের পথচলাকে দীর্ঘ কামনা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তাঁদের শুভেচ্ছার পুষ্পবৃষ্টিতে ক্লাব কর্মকর্তা ও সদস্যরা আবেশিত হয়েছেন। বক্তব্যের পর ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গীতের মূর্ছনা সমবেত অতিথিরা উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি দর্পণ কবীর এবং অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সামসুন্নাহার নিম্মি।
উৎসব অনুষ্ঠানে মঞ্চে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সবচেয়ে প্রাচীন সাপ্তাহিক ঠিকানা পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম. এম. শাহীন, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দশক পূর্তি উৎসব কমিটির আহবায়ক নাজমুল আহসান, নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক ডা: ওয়াজেদ এ খান, আজকাল পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও জেবিবিবিএ’র সাবেক সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ জিকো, প্রবাস পত্রিকার সম্পাদক ও দশক পূর্তি উৎসব কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ সাঈদ, কুইন্স ডেমক্রেটিক পার্টির ডিষ্ট্রিক্ট লীডার এট লার্জ ও এটর্নী মঈন চৌধুরী, জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ)-এর সভাপতি শাহ নেওয়াজ ও বিশিষ্ট রিয়েল স্টেট ইনভেস্টর মো: আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান রচি। প্রেসক্লাবের দশক পূর্তি উৎসব উপলক্ষে প্রকাশিত ‘মুক্তমন’ এর সম্পাদক ও আজকাল পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সাগর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বেলাল আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক মনজুরুল হক মঞ্জু, কোষাধ্যক্ষ মশিউর রহমান। মিডিয়ার সম্পাদকদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দেশ বাংলা ও বাংলা টাইমস সম্পাদক ডাঃ চৌধুরী সারোয়ারুল হাসান, জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক রতন তালুকদার এবং বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও টাইম টিভি’র সিইও আবু তাহের। কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি নার্গিস আহমেদ, মীরেশ্বরাই সমিতির সভাপতি কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট পারভেজ সাজ্জাদ।
বক্তারা বলেন, কমিউনিটি গড়তে মিডিয়ার ভূমিকা ছিল এবং কমিউনিটিকে এগিয়ে নিতে মিডিয়া বাতিঘরের ভূমিকা পালন করছে। নিউইয়র্কে মিনি বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে মিডিয়ার কারণে। তারা আরো বলেন, মিডিয়া বাড়ছে, কিন্তু ঐ পরিমাণ বিজ্ঞাপন বাড়ছে না। তাই মিডিয়ায় মন্দাভাব দেখা যাচ্ছে। বক্তারা মিডিয়ায় পেশাগত দক্ষতা বাড়ানো এবং পেশাগত প্রতিযোগিতার প্রতি মনোযোগী হতে সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের একদশক পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এরপর ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ড. তনিমা হাদী, শাহ মাহবুব ও রানো নেওয়াজ। যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী ছিলেন কী-বোর্ডে মোস্তফা জামান, গীটারে মির্জা মনু, অক্টোপেডে রিট ও তবলায় সজীব।