বাংলা খবরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু : ‘ফোর্থ স্টেট সংবাদপত্রের আজ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা নেই ’

0
2223

বাংলা খবর, নিউইয়র্ক:
অন লাইন পত্রিকা বাংলা খবর ডট নেট এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস এর একটি রেস্টুরেন্টে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পত্রিকাটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পত্রিকাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে রোববার সন্ধ্যায় পত্রিকাটির অনলাইনে থাকা প্রচ্ছদ পেইজটি’র একটি প্রিন্ট কপি উপস্থিত দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক, ঢাকা থেকে আসা সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতি কর্মী সহ নানান পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে একটি গোলটেবিল বৈঠক ( গণমাধ্যম: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা ) আয়োজন করে বাংলা খবর। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সংবিধানে বলা আছে সংবাদপত্র হচ্ছে ফোর্থ স্টেট। অথচ এ ফোর্থ স্টেট এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা আজ আর নেই। তারা বলেন, গণমাধ্যম কোন রাজনৈতিক দল নয়, জনগনের জন্য কাজ করে। একমাত্র সংবাদপত্রই পারে সমাজকে আমূল পরিবর্তন করতে। তারা বলেন, যান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থায় অনলাইন পত্রিকাও ভূমিকা রাখছে। ব্যস্ততার মাঝে মোবাইল ফোনে অনেকেই প্রতিদিন বিশ্ব সংবাদ দেখে নিচ্ছেন।

বাংলা খবরের সম্পাদক শওকত ওসমান রচি’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পত্রিকাটির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ আল আমিন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন নিউইয়র্ক এর পরিচিত মুখ সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রবীন সাংবাদিক ও সাপ্তাহিক আজকাল পত্রিকার সম্পাদক মনজুর আহমদ, প্রবীন সাংবাদিক মাহমুদুল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, সাপ্তাহিক পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, টাইম টেলিভিশন এর সিইও ও বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের, আমেরিকা -বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক দেশকন্ঠের সম্পাদক দর্পণ কবীর, সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার, সাপ্তাহিক বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সাপ্তাহিক প্রবাস পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ওয়ালিউল আলম ও সম্পাদক মোহাম্মদ সাঈদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক মুজাহিদ আনসারী, দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি ইমরান আনসারী, সিনিয়র সাংবাদিক আবিদুর রহিম, বাপস নিউজ সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম খোকন, চ্যানেল আই এর সিনিয়র রিপোর্টার মোস্তফা মল্লিক, সাপ্তাহিক জনতার কন্ঠের চেয়ারম্যান শামসুল আলম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের কার্যকরী সদস্য শাহানারা রহমান, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মমতাজ শাহনাজ, জাতীয় পার্টি নেতা ও লেখক জসীম উদ্দীন, বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্য শিল্পী রেখা আহমদ ও প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রিজিয়া পারভীন, মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিৎ সাহা, আমেরিকা-বাংলােদশ প্রেসক্লােবর যুগ্ম সম্পাদক মন্জুরুল হক, সাপ্তািহক আজকাল পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাগর, বিশিষ্ট আলোকচিত্র শিল্পী নিহার সিদ্দিকী, আমেরিকা-বাংলােদশ প্রেসক্লােবর কার্যিনর্বাহী সদস্য – সাপ্তািহক আজকাল পত্রিকার মার্কেটিং বিভাগের প্রধান এ বি সিদ্দিক, সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন লিটন, সাংবাদিক – সংগঠক এনাম চৌধুরী, ড. এনামুল হক, এশিয়ান টিভির প্রধান ক্যামেরা পার্সন মাহে আলম জেমস, যুবদল কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল বাতেন শামীম, যুবলীগ নেতা তারিকুল ইসলাম, কুইন্স যুবলীগ নেতা নান্ট ুু, উত্তম কুমার সেন, মো: সাইফুল ইসলাম, সাংবাদিক টি এ মামুন, সাংবাদিক অনিসুর রহমান, অগ্রনী শিশু কিশোর সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আতিকুর রহমান মুকুল, মুক্তিযোদ্ধা ইসলাম জাহিদ, ফারহানা চৌধুরী, প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আজকাল সম্পাদক মনজুর আহমদ বলেন, বর্তমান সময়ে পরিপূর্ণ সাংবাদিকের অভাব পড়েছে। বঙ্গবন্ধু যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সেসময় তিনি তাঁর নিউজ কভার করতেন উল্লেখ করে বলেন, সে সময় বঙ্গবন্ধুকে খুশী করতে আমরা প্রশ্ন করতাম না। প্রশ্ন করতাম নিউজ আইটেম বের করার জন্য। উনি বিরক্ত হলে নিউজ আইটেম বের হতো। কাউকে খুশী করার জন্য সাংবাদিকতা নয়। সরকার এবং জনগনের মাঝখানে সংবাদপত্রের ভূমিকা থাকা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবে সংবাদপত্র। সংবিধানে বলা আছে সংবাদপত্র হচ্ছে ফোর্থ স্টেট। অথচ এটার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা আর নেই। তিনি অতিতের সাংবাদিকতার চিত্র তুলে ধরে বলেন, জনগনের আশা-ভরসার স্থান ছিল জাতীয় প্রেসক্লাব। সাংবাদিকতা পেশার প্রতি আস্থা-শ্রদ্ধা ছিল। আর বর্তমানে সাংবাদিক নেতাদের অনেকেই বাড়ি-গাড়ি বানাচ্ছেন। পত্রিকার পাতায় তাদের কোন রিপোর্ট ছাপা হয়না। তারা ধান্ধাবাজিতে সক্রিয়। মনজুর আহমদ বলেন, আমি আশাবাদি , প্রকৃত সাংবাদিকরা উঠে আসবে।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলেছ। তা রুখেত হবে। এর সাথে অনেক সংবাদকর্মী জড়িত। অনলাইন পত্রিকার বিকাশ হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ দেখে আমাকে অনেকে ফোন করেন।

পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান বলেন, ইদানীং ‌‌’ফেইক নিউজ’ শব্দটি বহুল প্রচারিত। আমেরিকান প্রেসিডেন্টো প্রায় ফেইক নিউজ শব্দ ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, অনেক কিছুতে স্পন্সর জুটে, সংবাদপত্রের বেলায় তা হয়না।

টাইম টেলিভিশন এর সিইও ও বাংলা পত্রিকার সম্পাদক আবু তাহের বলেন, আমরা যারা সাংবাদিক তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত পাবলিক ইন্টারেস্ট সার্ভ করা। সরকার বা বিরোধি দলের পারপাস সার্ভ না করা। অপ-সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। আমরা যদি অবিকল ও অবিকৃত অবস্থায় সংবাদ পরিবেশন করতে পারি, সেটাই হবে আমাদের মুন্সিয়ানা। সরকার বা বিরোধিদলের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা পত্রিকা প্রকাশের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।

আমেরিকা -বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাপ্তাহিক দেশকন্ঠের সম্পাদক দর্পণ কবীর বলেন, নিউইয়র্কে এখনো নিউজ পোর্টাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। বাংলা খবর সে কাজটি করতে পারে। তিনি বলেন, গণমাধ্যম অনিয়ম-অন্যায় তুলে ধরে। গণমাধ্যমের কারনে অনেকেই নিরাপত্তাবোধ করেন। তবে রাজনৈতিক কারনে আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। আগে সাংবাদিকরা দ্বীনহীন ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেসময় অনেকেই মেয়েকে সাংবাদিক পাত্রের হাতে তুলে দিতে চাইতেননা। আর আজ অনেক সাংবাদিক গাড়ি-বাড়ির মালিক। দর্পণ কবীর বলেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ সবাই আ’লীগ বা বিএনপির নয়। তবে ১৬ কোটি মানুষ নির্ভর করে সংবাদপত্রের উপর। ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে একমাত্র গণমাধ্যম। সম্প্রতি পাশ করা ডিজিটাল আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ আইন বাক স্বাধীনতা বন্ধ করবে। তবে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয়না।


সাপ্তাহিক জন্মভূমি সম্পাদক রতন তালুকদার বলেন, প্রিন্ট মিডিয়া প্রায় মৃত অবস্থা, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় টিভি দেখেন কিছু লোক। তবে অনলাইন পত্রিকা কতটুকু বিশ্বাসেযাগ্যতা নিয়ে এগুবে তা এখন বলা যাবেনা। সাংবাদিকতায় এখন অনেক ধান্ধাবাজি প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে বলেন, ঢাকায় এখন অনেকের গাড়ি-বাড়ি হয়েছে। নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধু ভবন হবে কিনা – এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেন সাংবাদিকের প্রশ্ন হবে। প্রশ্ন হবে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে। পড়ােশানা-অভিজ্ঞতা নেই – এমন অনেকেই সাংবাদিকতা করেন। এ পেশায় সৎ-নিরপেক্ষতা প্রয়োজন, কিছু না পাবার আশা করে এখানে আসা উচিত।

সাপ্তাহিক বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, সংবাদমাধ্যম কখনো গুজব ছড়ায়না। গুজব ছড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সংবাদমাধ্যম শুধু সংবাদ পরবিশেন করে থাকে। সরকারি ও বেসরকারি দলের মাঝখানে থাকা সাংবাদিকরা সবসময় তাদের রোষানালয়ে থাকনে। সত্য প্রকাশের জন্য সাংবাদিকরা মৃত্যু মেনে নিচ্ছেন, জেলে যাচ্ছেন। তারা সবসময় বিপদের মুখে থাকেন।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোতে এখন আর অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ পাচ্ছনো। বর্তমান ডিজিটাল আইনের কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকার পিআইডির মাধ্যমে যে প্রেসরিলিজ পাঠাবে সেটাই প্রকাশ করতে হবে। এর বাইরে কিছু প্রকাশ করা যাবেনা। ইচ্ছে করলে সরকার বা রাজনীতিবিদরা সাংবাদিকদের জেলে পাঠাতে পারবে। তিনি বলেন, যে নিউজ সমাজকে নাড়া দেবে , সমাজ শিখবে, জানবে সেই নিউজ করা যাবেনা। নিউজ ছাপতে সতর্ক করা হচ্ছে। কালো আইনকে বৈধ বলা হচ্ছে। মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এখানকার স্থানীয় পত্রিকাগুলো ইমিগ্র্যান্ট নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করেনা।

সিনিয়র সাংবাদিক আবিদুর রহিম বলেন, নিরপেক্ষ বা নির্ভীিক থাকার কথা সবাই বলেন। কিন্তু কিভাবে এগুলো করতে হবে তা কেউ সুনির্দষ্ট করে বলেননা। সংবাদপত্রে অনেককিছু লেখা যায়না। লিখলে বিভিন্ন মহল থেকে চাপ-হুমকি আসে। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

চ্যানেল আই এর সিনিয়র রিপোর্টার মোস্তফা মল্লিক বলেন, এখনকার সংবাদমাধ্যমের যুগ অনলাইনের যুগ। অনলাইন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। তিনি বলেন, চ্যানেল আই এখন পর্যন্ত সবার কাছে পৌঁছতে না পারলেও চ্যানেল আই এর অনলাইন নিউজ পোর্টাল ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, পদ্মাসেতু নির্মাণ থেকে যখন বিশ্বব্যাংক পিছিয়ে আসলো তখন বরগুনার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন শিক্ষক একটি অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু স্থাপনে একটি সহজ ফরমুলা বাতলে দেন।

প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী রিজিয়া পারভীন বলেন, আমরা আসলে বর্মানে যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি। অনেক সময় পত্রিকা পড়ার সুযোগ পাইনা। মোবাইলে অনলাইনে নিউজ দেখে ফেলি।

যুবদল কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল বাতেন শামীম বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে কিছু নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হচ্ছি। একটি ‘ফেইক’। সম্প্রতি বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কিশোর আন্দোলন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দেখেছি ‘গুজব’ শব্দ। মানুষ সঠিক তথ্য পেলে কেউ গুজব ছড়াতে পারবেনা। আমিও যদি মিথ্যে কথা বলি তাহলে সঠিক তথ্যটাই তুলে ধরা উচিত।

যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মমতাজ শাহনাজ বলেন, নিউইয়র্কয়ে প্রচুর গণমাধ্যম। এরসাথে যুক্ত হয়েছে আরেকটি অনলাইন পত্রিকা। অভিনন্দন জানাচ্ছি। এ অনলাইনের মাধ্যমে যদি সত্য ঘটনা এবং সুন্দর ভবিষৎ বেরিয়ে আসে তবে আমরা উপকৃত হবো।

এরআগে স্বাগত বক্তব্যে বাংলা খবরের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সৈয়দ আল আমিন বলেন, সমাজকে সংস্কার বা পরিবর্তন একমাত্র সংবাদমাধ্যমের দ্বারাই সম্ভব। সাংবাদিকরাই পারেন কিছু করতে। তবে প্রতিটি সরকারের আমলেই সাংবাদিকরা রোষানলের মধ্যে পড়েন। তিনি বাংলা খবরের প্রকাশনায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনলাইন পত্রিকা বাংলা খবরের সম্পাদক শওকত ওসমান রচি। ১৯৮৭ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে দৈনিক সংবাদে যোগ দেন ক্রাইম রিপোর্টার পদে। এরপর ১৯৯৪ সালের শুরু থেকে বাংলাবাজার পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার পদে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে বাংলাবাজার পত্রিকায় যোগ দেন। সিনিয়র রিপোর্টার পদে থেকেই তিনি নতুন প্রকাশিত দৈনিক নয়া দিগন্তে যোগ দেন ২০০৮ সালে। এর কিছুদিন পর বিশেষ সংবাদদাতা ও ডেপুটি চীফ রিপোর্টার পদে পদোন্নতি পান। প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি তিনি ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে সমতালে কাজ করেছেন। ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারে ‘মহানগর সংবাদদাতা’ পদে কাজ করেছেন। বাংলাদেশ বেতার থেকে প্রচারিত বানিজ্যিক সংবাদ তাকে দিয়েই শুরু হয়। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন নিউজে গেস্ট প্রডিউসার পদে যোগদান করেন। রাত ৮টা ও রাত ১০টার খবরে ‘অর্থ-শিল্প-বানিজ্য’ নামে পৃথক পার্ট তিনি পরিচালনা করতেন। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর থেকে তিনি এখানকার জনপ্রিয় সাপ্তাহিক আজকাল য়ে নির্বাহী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশতো বটেই সারা বিশ্বে এখন অনলাইন পত্রিকা জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সর্বশেষ খবরতো বটেই সবধরনের খবর হাতে থাকা মোবাইলে দেখা যায়। নিউইয়র্কয়ে প্রবাসীরা এখনো এটাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেননি। তবে অনলাইনের জনপ্রিয়তা রয়েছে তার প্রমান প্রতিটা পত্রিকা তার নিজস্ব পৃথক অনলাইন চালু বরেছেন। তিনি জানান, বাংলা খবর ঢাকা এবং নিউইয়র্ক থেকে নিউজ আপলোড করা হচ্ছে। শওকত ওসমান রচি জানান, বাংলা খবর একটু ভিন্ন অাঙ্গিকে করা হয়েছে। কয়েক লাখ প্রবাসী বাংলাদেশীর কথা চিন্তা করে নিউজ এর পাশাপাশি তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এতে। বাংলা খবর খুলে তিনি একেধারে বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল, সিনেমা, নাটক বা টকশো দেখতে পাবেন। এ অনলাইন পত্রিকাটির প্রকাশনায় তিনি সকলের সহযোগিতা চান। পত্রিকাটি দেখতে গুগলে গিয়ে টাইপ করতে হবে:
banglakhobar.net

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here