বাংলাদেশ ২৪ ভাগ মানুষকে দারিদ্র্যসীমার নিচে রেখেই উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন করেছে।অর্থনীতিবিদদের মতে, এই হার দ্রুত না কমলে চূড়ান্ত উত্তরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হতে পারে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানালেন, দারিদ্র্য কমাতে আসছে বাজেটেও অগ্রাধিকার পাবে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষাখাত।
নীলফামারী থেকে পেটের দায়ে ধামরাই এসেছেন দুলু আর আজিজুল। অন্যের জামিতে সারাদিন খেটে ফসল ফলাচ্ছেন তারা। মজুরি পাচ্ছেন মাত্র ৩শ টাকা। নিজের খরচ মিটেয়ে হাতে থাকে আড়াইশ টাকা। যা দিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করেন। এ থেকেই দিতে হয় ঋণের কিস্তি।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে ২৪ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। এর ২৬ ভাগ গ্রামে এবং শহরে ১৮। সব মিলিয়ে দারিদ্র্য সীমার নিচে ৩ কোটি ৮৮ লাখ মানুষ। যার ২ কোটিই হতদারিদ্র্য।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, স্থায়ী দারিদ্র্য নিরসন সম্ভব নয়। অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রতিটি পরিকল্পনা অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দারিদ্র বিমোচন ও উন্নয়ন। এছাড়া ধনী গরীবের বৈষম্য আশঙ্কাজনক হারে বাড়ায় উদ্বিগ্ন অর্থনীতিবিদরা।