সোমবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় কাহিনী বলে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। ধার্মিক না হয়েও দেশ শাসনে ধর্মের ব্যবহার করা, ধাপ্পাবাজি দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বিভ্রান্ত করা, আর তা না হলে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের বশ্যতা আদায় করা প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতি ও দেশশাসনের নীতি।
রিজভী বলেন, হেফাজতের রক্তাক্ত ঘটনার কথা মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। সরকারী ফরমান জারি করে জুম্মার নামাজে মসজিদে মসজিদে খুৎবা পরিবর্তন করা হয়েছে। দাড়ী-টুপি দেখলেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে মসজিদে মসজিদে ঢুকে নামাজরত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। কিভাবে মসজিদের ইমাম সাহেবদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আওয়ামী চেতনায় মোনাজাত করতে। আওয়ামী লীগ ছাড়া বিরোধী দলীয় কেউ যদি মারা যায় বা মৃত কারো নামে দোয়া চাওয়া হয়, তাহলে ইমাম সাহেবদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। দুটি নির্বাচনই দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের যে প্রান্তেই নৌকার পক্ষে ভোট চান না কেন তা ঘোষিত তফসিলের মধ্যে পড়ে। এবং সেটা নির্বাচন আচরণ বিধিমালার সুষ্পষ্ট লংঘন। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর বন্দুকের নলই হচ্ছে তার ক্ষমতার ভিত্তি, তাই তিনি সব কিছুই করতে চাচ্ছেন হুংকার আর ধমক দিয়ে। সকল আইন, নিয়ম নীতি ভেঙ্গে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
কর্মসূচি ঘোষনা: বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে আগামীকাল ০৩ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় এবং দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা সদরে বিএনপি ঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে আমি দলের পক্ষ থেকে আহবান জানাচ্ছি।