অ্যালেন শুভ্রপরিচালকের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে অভিনেতা অ্যালেন শুভ্রকে। টেলিভিশনের তিন সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয় শিল্পী সংঘ ও টেলিভিশন প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নেয়।
জানা যায়, ছোট পর্দার নির্মাতা নিয়াজ মাহবুবকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই আগামী ১০ মে থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে এই তিন সংগঠনের কোনও সদস্য কোনও নির্মাণে অংশ নেবেন না।
ঘটনার কারণ জানতে চাওয়া হলে পরিচালক নিয়াজ মাহবুব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘বছর খানেক আগে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত ‘গারাগুরা’ নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন অ্যালেন। নাটকের কাজ চলছিল বরিশালে। সেখান থেকে লঞ্চে রাত আটটায় অথবা বাসে রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকায় ফেরা যায়। নাটকের কাজ কিছুটা বাকি ছিল তাই অভিনেতাকে অনুরোধ করি, যেন রাত সাড়ে ১১টার বাসে তিনি ঢাকায় ফিরে যান। এরমধ্যে কাজটাও শেষ হবে। কিন্তু তিনি আমাদের বলেন ঢাকায় নতুন করে বাকি কাজ করে দেবেন। এভাবে তিনি কোনও অনুরোধ না মেনে সেদিন রাত ৮টার লঞ্চে ঢাকায় ফিরে আসেন। এরপর নতুন একদিনের কাজ ঢাকায় আয়োজন করতে হয় তার জন্য। সেটার কাজও অ্যালেন করেন। এরপর আমার কাছে তিনি বাড়তি এক দিনের পেমেন্ট চান। তাকে বলি, পেমেন্ট দিতে তো আমার আপত্তি নাই। কিন্তু তার জন্যই ঢাকায় নতুন করে কাজ করতে হয়েছে বাড়তি একদিন। এই খরচটা কে দেবে? আর যদি প্রডিউসার টাকা দেয়। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে পৌঁছে দেব।’’
ঘটনা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘এর কিছুদিন পর অ্যালেন আমাকে ফোন দেন। টাকা না দেওয়ায় অকথ্য ভাষায় গালি দেন এবং মগ বাজার এলাকায় এলে আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকিও দেন। আমি বিষয়টি কয়েকজনকে জানাই। প্রায় ১০ মাস পর গত জানুয়ারির ২০ তারিখ মগবাজারে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়। তিনি আমাকে মারতে তেড়ে আসেন। রাস্তার ইট দিয়ে আমার মাথায় আঘাতও করেন। গুরুতর জখম হয়। পরে তিন সংগঠনে আমি অভিযোগ জানাই।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিমের সঙ্গে। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা দু’পক্ষকে নিয়ে গত ৪ এপ্রিল আলোচনায় বসি। অ্যালেন শুভ্র দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তার অপরাধ অমার্জনীয়। এমন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী তিন মাস তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
এদিকে অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, এর আগে নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে একইভাবে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন প্রসূন আজাদ।