সুইডেনের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লাতান ইব্রাহিমোভিচ। খেলতে চাইছেন এবারের বিশ্বকাপে। কিন্তু বাধ সেধেছে ফিফার একটি নিয়ম। মাল্টা-লাইসেন্সড গ্যাম্বলিং অপারেটর বেথার্ডের সাথে ইব্রার করা এক চুক্তি তার বিশ্বকাপে খেলার অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ৩৬ বছর বয়সী সুইডিশ এ ফুটবলার জানিয়েছেন, ফিফা তাকে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা থেকে বিরত রাখতে পারবে না। তার কথায়, ‘ফিফা আমাকে রুখতে পারবে না। যদি আমি বিশ্বকাপে খেলতে চাই; আমি খেলবোই।’
২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন ইব্রা। এবারের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও খেলেননি। কিন্তু সুইডেন এবার বাছাই পেরিয়ে রাশিয়ার চূড়ান্ত পর্বে খেলার টিকিট পেয়ে গেছে। এমন সময় ৩৬ বছর বয়সী ইব্রার মনে হয়েছে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলতে পারলে নেহাত মন্দ হয় না। তাই আগ্রহটা প্রকাশ করেছেন প্রকাশ্যেই। রাজি কোচও। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিফার একটি নিয়ম।
ইব্রা সম্প্রতি বাণিজ্যিক চুক্তি করেছেন মাল্টা-লাইসেন্সড গ্যাম্বলিং অপারেটর বেথার্ডের সাথে। এই পার্টনারশিপই তার তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নের পথে বাধা। বেটিং নিয়ে ফিফার যে আইন তার সাথে এই চুক্তি সাংঘর্ষিক। ফিফা কোড অব এথিক্সের চ্যাপ্টার ফোরের ২৫ নম্বর নিয়ম বলছে, ‘এই আইনের আওতায় থাকা সবার জন্য ফুটবল ম্যাচ নিয়ে বেটিং, গ্যাম্বলিং, লটারি ও একইরকম ইভেন্ট ও লেনদেনে অংশ নেওয়া সেটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হোক নিষিদ্ধ।’
কিন্তু ফিফার এই নিয়ম মানতে রাজি নন ইব্রা। তিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান, এটা তার বিষয়, ফিফার নয়- এমনটা দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে আমি যদি খেলতে চাই। আমি খেলবো। এটা ফিফার বিষয় নয়। এটা আমার বিষয়, আমি কি করব। দরজা বন্ধ হয়নি, খোলা আছে।’
সুইডিশ ফুটবল সংস্থা অবশ্য আশা করছে, এর একটা সমাধান হতেই পারে। সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার হাকান সসটার্ড বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড় ভিন্নভাবে যদি বিজ্ঞাপন করে তাহলে সুইডিশ ফুটবল সংস্থা এটিকে একেবারে ভিন্নভাবে দেখে। এর সাথে ফিফার নিয়ম ও আইনের সাথে কোনো যোগসূত্রই নেই।’
সূত্র : গোল ডটকম।