প্রধানমন্ত্রী এই কুচকাওয়াজে অংশ নিতে দুই দিনের সরকারি সফরে গত রোববার সন্ধ্যায় দাম্মাম পৌঁছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা স্থানীয় সময় ৭টা ৩৫ মিনিটে দাম্মাম বাদশাহ ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন। সৌদি প্রতিমন্ত্রী ও মজলিশ আল শুরা বিষয়ক কেবিনেট সদস্য মোহাম্মদ বিন ফয়সাল আবু সাক এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তি রক্ষায় বন্ধু দেশগুলোর প্রতিরক্ষা সমন্বয় ও সহযোগিতায় সৌদি আরব মাসব্যাপী এ সামরিক মহড়ার আয়োজন করে। আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদশাহ সালমান বন্ধু দেশগুলোর বেশ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সামরিক মহড়ার সমাপনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন। এই সামরিক মহড়ার মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল সুবাইয়ে শনিবার বলেন, ২৪টি দেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অংশগ্রহণে সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই মহড়ার আয়োজন করেছে।
এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাংলাদেশ, বাহরাইন, কাতার, কুয়েত, মিশর, জর্ডান, সুদান, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, শাদ, জিবুতি, নাইজার, কমরোস, আফগানিস্তান, ওমান, গায়ানা, তুরস্ক ও বারকিনাফেশো যোগ দেয়।
গত ১৮ মার্চ এই মহড়া শুরু হয়। এতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অংশ গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্যে সোমবার দাম্মাম ত্যাগ করেন।