ড. আসিফ নজরুল
১৯৭২ সালের সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সম্পর্কে কিছু বলা নেই। এই সংবিধান প্রণীত হয়েছিল যে গণপরিষদে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা প্রদানের কথা উত্থাপিতই হয়নি। গণপরিষদে কেবল সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান প্রসঙ্গে পঙ্গু ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়(বাংলাদেশ গণপরিষদের বিতর্ক, দ্বিতীয় খ-, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৪৭০-১)। সামাজিক নিরাপত্তার উদার ব্যাখ্যা করলে শুধুমাত্র পঙ্গু বা নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের (শুধুমাত্র সন্তান) জন্য চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ বৈধ হতে পারে, অন্যদের জন্য নয়।
জনসংখ্যার অনুপাতে এই কোটা হতে পারে বড়জোর ১ শতাংশ। বাকী ১৪ শতাংশ হতে পারে নারী, প্রতিবন্ধী আর ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। তবে কোটা কোনভাবেই মোট চাকরীর ১৫ শতাংশের বেশী হওয়া উচিত না। কোনভাবেই উচিত না কোটা পুরণ না হলে পদ শুণ্য রেখে দেয়া। মুক্তিযোদ্ধারা এ’জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মানিত করতে হবে অন্যভাবে। আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি, ঢালাও কোটা বরং অসম্মানিত করে তাদের। লাভ হয় কেবল ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোর।