নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ- ১৪২৫ উদযাপন করা হয়েছে ইতালির রাজধানী রোমে। বাংলাদেশের সঙ্গে মিল রেখে শনিবার বৈশাখী উদযাপন কমিটির আয়োজনে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে ইতালিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেন বাংলাদেশিরা।
দিনটিকে ঘিরে দুপুর গড়াতেই লারগো প্রেনেসেতের একটি পার্কে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছুটে আসেন প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে। প্রবাসে বাঙালিয়ানা সেজে হৈ-হুল্লোড় করে বাংলা নববর্ষে পুরনো দিনের গ্লানি মুছে দিয়ে নতুন বছরকে ঘিরে ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ার প্রত্যয় করেন।
পুরুষরা পায়জামা- পাঞ্জাবি আর নারীরা দেশীয় কাপড় পরেন বৈশাখী উৎসবে। এ যেন প্রবাসে এক টুকরো বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে দেশীয় নানা রকম খাবার দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন সানজিদা আহমেদ ববি, সদস্য সচীব জেসমিন সুলতানা মীরা, প্রধান সমন্বয়কারী রুপালি গোমেজ, প্রধান উপদেষ্টা শান্তা সিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক মাকসুদা আক্তার, সাবরিনা ইয়াসমিন, সদস্য সুমি ইসলাম, সারমিন ইসলাম পায়েল, সুমি বেপারি, উপদেষ্টা সায়েরা হোসাইন রানী, জামিলা মণ্জুরি মিনু আহমেদ, পৃষ্ঠপোষকতায় সৈয়দা মাসুদা আক্তার, মুরিয়েল লিডা দি সিলভা, পারভিন আক্তার।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় শারমিন সুর্বনা, আমিনুল ইসলাম ও তারেক হাসান নয়ন, প্রচার ও প্রকাশনায় মিনহাজ হোসেন, সহযোগিতায় আব্দুর রশিদ, জালাল আহমেদ মন্টু ও মোজাম্মেল হোসেন মোল্লা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জানলুকা পেছিওলা, বিশেষ অতিথি হাসানুজ্জামান কামরুল, জয়নাল আবেদিন হাজারী, মইনুল হোসাইন ময়না, জিএম ওমর ফারুক, মাফিজুল ইসলাম রাসেল, কাজী মোস্তাক আহমেদ সুমন, আশরাফুল হক, ইতালি ইপিবিএ সভাপতি লায়লা শাহ, মনোয়ারা বেবী- সভাপতি মহিলা অঙ্গন, তুসকোলানা নারী সংস্থার সভাপতি মেরিন খান উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।
স্পন্সর উইন্ড সেন্টার ভিয়া প্রেনেসতিনা ১৬৬, জেবি ম্যানগো জুস আগস্তো ডোলছেএরি ১৫০, ইতালি বাংলা গ্রুপ এসএরএল, সার্ভিস ইতালিয়া, ইউরো-বাংলা রেস্টুরেন্ট, ওরিয়েন্টেল ফাস্টফুড। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে দেশের বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন মনোয়ারা মনি। পরে রোমের জনপ্রিয় শিল্পী কাজী জাকারিয়ার ব্যবস্থাপনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
বৈশাখী অনুষ্ঠানে ছোট ও বড়দের বালিশ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার আঞ্চলিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।