খালেদা জিয়ার কারাগারে যাবেন কিংবা কারাগারে গেলেও কারাবাস এতো দীর্ঘ হবে তা ভাবেননি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বলা যায় এমন পরিস্থিতির জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না তারা। যার ফলে চাঙ্গা তৃণমূলে এখন মন্দা ভাব। হতাশা ভর করছে কারো কারো মনে।
শরিয়তপুর সদর বিএনপির সভাপতি জিরাজুল হক মোল্লা বলেছেন, আমাদের মনবল ভাঙেনি। নেত্রীর ওপরে যে জুলুম করা হয়েছে তার পরিবর্তে আমাদের মনোবল আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেন বলেছেন, একটু সংকটকালীন সময় পার করলেও তৃণমূলে, ওয়ার্ডে, গ্রামে ও মহল্লার নেতাকর্মীরা উজ্জিবিত।
স্বীকার না করলেও এ কথা সত্য যে বাস্তাবতায় অনেকটাই আশাহত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আন্দোলন ও সংগ্রামে টানা ব্যর্থতা এবং নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার পাশাপাশি মামলা মোকদ্দমার ভয়ে অসন্তুষ্ট তারা।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, সব সময়েই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপরে নিপীড়ন ও নির্যাতন চলছে। সরকার মুখে ঠিকই গণতন্ত্রের কথা বলছে। তবে তারা আদৌ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আমরা খুব্ধ-বিক্ষুব্ধ কিন্তু নেত্রীর নির্দেশের কারণে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচনী কার্যক্রমের আগেই বেশি ব্যস্ত ছিল নেতাকর্মীরা। দলে তখন দ্বন্দ্ব সংঘাতও ছিল তুলনামূলক বেশি। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে ঘিরে অধিকাংশ ইউনিটের অভ্যন্তরীণ কুন্দল কমে দলীয়ভাবে ঐক্য বেড়েছে বলে দাবি করছেন তৃণমূলের নেতারা।
শরীয়তপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বিদ্যুৎ বলেছেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে বিবেধ ছিল। কিন্তু নেত্রীর মুক্তির দাবিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এখানে আমরা বিন্দু পরিমাণও ছাড় দেব না।
মূলত মাঠ পর্যায়ে চাঙ্গা রাখতের সভা-সমাবেশ করেছে বিএনপি। কিছু দিনের মধ্যেই এই কর্মসূচিকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় দলটি।
ধৈর্য ধারণ করে পরিস্থির মোকাবেলা করতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান কেন্দ্রী নেতাদের । সূত্র : যমুনা টিভি