বিশ্বে প্রথম তৈরি হলো ক্রিকেটের ধারাভাষ্য অ্যাপ ক্রিকভয়েস নাবিলা। এই অ্যাপ ব্যবহার করে শোনা যাবে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের অনুষ্ঠিত খেলার সরাসরি ধারাভাষ্য নাবিলার মিষ্টি কণ্ঠে। এই নাবিলা কোনো ব্যক্তি নয়। এটি বুদ্ধিমান সফটওয়্যার। এর নির্মাতা আমাদের বাংলাদেশের প্রতিভাবান যুবক জুবায়ের হোসেন। এলগোরিদমের জালে নিজেকে জড়িয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে নাম কুড়িয়েছেন মোবাইলের এন্ড্রয়েড অ্যাপস বানিয়ে আরও আগে থেকেই।
ছোটবেলা থেকেই সময় পেলেই প্রোগ্রামিং করতেন। তারপর তৈরি করেন ‘সিএনজি মিটার’ নামক অ্যাপ। এই অ্যাপ প্রতি কিলোমিটার গন্তব্যে ভাড়া কত হবে তা হিসাব করত। এমনকি বাংলাদেশ বিমানের জন্য সফটওয়্যার সরবরাহ করেছেন তিনি।
তবে জুবায়েরের সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে তাঁর বুয়েট পড়ুয়া বন্ধু আসিফ কামারের সঙ্গে মিলে বানানো অ্যাপ ‘ভ্যাট চেকার’-এর মাধ্যমে। এই অ্যাপটির কাজ ছিল ভ্যাট ফাঁকি রোধ করা। যার মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ভ্যাট ফাঁকি দেয় তখন এই অ্যাপ ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা যায়। ২০১৫ সালের অক্টোবরের ১৫ তারিখে এই অ্যাপসটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ব্যবহার করা শুরু করে। কোনো দোকানি যদি ভুয়া ব্যবসা রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ভ্যাট ফাঁকি দেন, তাহলে সে ব্যাপারে তখনই ক্রেতারা নিশ্চিত হতে পারবেন। এ জন্য তাঁকে শুধু বিলের রসিদে দেওয়া বিআইএন নম্বরটি ভ্যাট চেকার অ্যাপসের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই ভোক্তা নিশ্চিত হবেন তার দেওয়া ভ্যাটের টাকা কোথায় জমা হচ্ছে। দোকানি যদি কোনো রকম অসততার আশ্রয় নেয় তখন মোবাইল ক্যামেরায় সেই রসিদের ছবি তুলে এনবিআরের ডাটাবেজে আপলোড দিলেই হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গেই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। জুবায়ের হোসেন জানান, বছরে ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি রোধ করে এই ভ্যাট চেকার অ্যাপ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এই সাফল্য দেখে সম্মাননাও জানায় এবং সরকারিভাবে অ্যাপসটিকে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই নয়াদিল্লিতে ভ্যাট চেকার পেয়েছিল ‘এমবিলিয়ন্থ অ্যাওয়ার্ড সাউথ এশিয়া ২০১৬’। মোবাইল খাতে উদ্ভাবনে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সম্মাননা। এ ছাড়াও ভ্যাট চেকার পায় জাতীয় মোবাইল এপ্লিকেশন পুরস্কার।
জুবায়ের জানান, কিছুদিন আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বন্ধ করে দেয় অ্যাপটি।
সূত্র: প্রতিদিন ডট কম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here