কক্সবাজার ক্যাম্পে অতি দুর্যোগে ঝুঁকিতে থাকা ১ লাখ রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে সরকার। এরই মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে। তার পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলা উপযোগী ঘর তৈরিসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা।
নতুন ও পুরনো সব মিলিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি ক্যাম্পে বসবাস করছে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আসছে বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধস ও বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে আশ্রয় নেওয়া এইসব মানুষ।
দিন যত বাড়ছে ততই আতঙ্ক বাড়ছে ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের। তাই ঝুঁকিতে থাকা এই রোহিঙ্গাদের দুর্যোগ মোকাবিলা ঘর তৈরিসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আইওএম, ইউএনএইচসিআর ও রেড ক্রিসেন্ট।
কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের কমিশনার মো. আবুল কালাম বলেছেন, বিভিন্ন সংস্থার জরিপ বলছে বন্যা ও ভূমি ধসের ঝুঁকিতে আছে ২ লাখ রোহিঙ্গা। এর মধ্যে ১ লাখ রোহিঙ্গা সবচেছে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। তাই ইতোমধ্যেই ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কুতুপালং ক্যাম্পের পাশে ভূমি উন্নয়নসহ সেড নিমার্ণে কাজ চলছে।
রোহিঙ্গারা ৫ হাজার একরেরও বেশি সংরক্ষিত পাহাড়ের বন কেটে উজার করেছে। যার কারনে ব্যাপকহারে পাহাড় ধসের আশঙ্ক রয়েছে।