মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী নারী ও চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ একই এলাকা বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাশঁবুনিয়া গ্রামের প্রতিবেশী। মেয়েটিকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল এই চেয়ারম্যান। এমনকি বিবাহ প্রস্তাব দিয়ে মেরীকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। গত ১৬ই এপ্রিল মেয়েটি ও তার বোন বরগুনা পৌর শহরের চরকলোনী এলাকায় অসুস্থ বড়বোনকে দেখতে যান। এসময় সোহাগ মেয়েটির পিছু নিয়ে ওই বাসায় গিয়ে ড্রইংরুমে ওৎ পেতে থাকে এ সময় বড়বোনের স্বামী বাজারে ঔষধ আনতে গেলে দরজা খোলা দেখতে পেয়ে মেয়েটি দরজাটি বন্ধ করতে আসলে সোহাগ তাকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে মেয়েটির ডাক চিৎকারে ঘরের ভিতরে থাকা দুই বোন ছুটে আসলে সোহাগ পিস্তল উঁচিয়ে খুনের ভয় দেখায় এবং এ বিষয় কোন বলাবলি বা মামলা করলে খুন করবে বলে হুমকি প্রদান করে চলে যান।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ মুঠোফোনে বলেন, এ সব কিছু আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র আমি এই মেয়েকে বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা দিয়ে অনেক সাহায্য করেছি। উপকারের ফল হিসেবে আজ আমাকে ধর্ষণ মামলার আসামী হতে হলো।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুজ জামান জানান, আদালতের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে যথাসময়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন।
ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি গোলাম আহাদ সোহাগের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে গতকাল বুধবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন একই ইউনিয়নের বাঁশবুনিয়া গ্রামের এক নারী। তদন্ত সাপেক্ষে যথাসময়ে মামলাটির প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সদর থানাকে আজ নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত ।