যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায় স্বামীর প্রেমিকাকে গুলি করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন এক নারী।
স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফিলাডেলফিয়ার উপকণ্ঠে একটি বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেনির গেরাডো (৪৮) নামের ওই নারী মেরেডিথ চ্যাপম্যানের (৩৩) বাড়িতে ঢুকে অপেক্ষা করছিলেন। সন্ধ্যায় চ্যাপম্যান বাসায় পৌঁছালে তাকে গুলি করে হত্যা করেন। পরে নিজের ওপর গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ঘটনার আগে স্বামীকে এসএমএস পাঠিয়ে হত্যার পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন তিনি। জরুরি ফোন পেয়ে ওই বাড়িতে পৌঁছে দুই নারীর মৃতদেহ পায় পুলিশ।

বাড়ির বাইরে গেরাডোর স্বামী মার্ক গেরাডোকে আটক করে পুলিশ। তখন স্ত্রীর বার্তা পড়ে তিনি পুলিশকে বলেন, “আমার স্ত্রী ভিতরে থাকতে পারে।”

মেরেডিথ চ্যাপম্যানও বিবাহিতা ছিলেন। ২০১৬ সালে ডেলাওয়ার স্টেট সিনেট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন।

ইউনিভার্সিটি অব ডেলাওয়ারে সিনিয়র মার্কেটিং ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। সে সময় মার্ক গেরাডোর সুপারভাইজার ছিলেন চ্যাপম্যান।

সম্প্রতি পেনসিলভেনিয়ার ভিলানোভা ইউনিভার্সিটির সহকারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

পুলিশের ভাষ্যমতে, ডেলাওয়ারের সাবেক এক সিটি কাউন্সিল সদস্য লুক চ্যাপম্যানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মেরেডিথ চ্যাপম্যানের। তবে ঘটনার সময় স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না তিনি।

তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্ক গেরাডো ওই সন্ধ্যায় প্রেমিকার সঙ্গে নৈশভোজের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তবে তার আসতে দেরি হওয়ায় বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

স্থানীয় পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট উইলিয়াম কোলারুলো বলেছেন, চ্যাপম্যানের বাড়ির সামনের দরজার কাঁচ ভেঙে ভিতরে ঢুকে তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন জেনির গেরাডো।

“একজন লোক বিবাহিত, তার অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। স্ত্রী সেটা জানতেন এবং এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here