তার মতো ‘মহাজ্ঞানী’ পুরুষ কোনও নারীকে যৌন নির্যাতন করলে তা পাপ বলে গণ্য হবে না বলে মনে করত ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। রাহুল কে সাচার নামে আসারামের আশ্রমের এক ভক্ত আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এ কথা সরকারি আইনজীবীকে জানিয়েছিলেন।
বুধবার ভারতের যোধপুরের আদালত এক নাবিলকাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করে আসারামকে। যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাও শোনানো হয়েছে তাকে।
রাহুল জানান, আসারামের কুঠিতে এক সময় ঢোকার অধিকার ছিল তাঁর। ২০০৩ সালে পুষ্কর, ভিওয়ানি আর অমদাবাদের তিনটি আশ্রমে মেয়েদের যৌন নির্যাতন হতে দেখেন তিনি। এ সব কাজে আসারামকে আশ্রমেরই তিন মহিলা ভক্ত সাহায্য করত। ধর্ষণের ফলে কোনও মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আসারাম ঘনিষ্ঠ ওই তিন মহিলা গর্ভপাতের ব্যবস্থাও করত। আশ্রমের ঘরে মেয়েদের ডাকতে ওই তিন মহিলা সহযোগীকে টর্চের মাধ্যমে সঙ্কেতও পাঠাত আসারাম।
রাহুলের দাবি, আসারামের মতো এক জন ধর্মগুরু এ ভাবে নারী নির্যাতন করছে দেখে তাকে চিঠি দিয়েছিলেন রাহুল। পরিণামে তাঁকে আশ্রম থেকে বার করে দেয় আসারাম। পুলিশে গেলে রাহুলের উপর হামলাও চলে।
আসারামের দশ হাজার কোটির সম্পত্তির দেখাশোনার ভার নিয়েছেন মেয়ে ভারতীশ্রী। আসারামের একমাত্র ছেলে নারায়ণ সাই-ও ধর্ষণের অভিযোগে জেলে। কয়েক বছর আগে থেকেই পারিবারিক ব্যবসার দেখভাল করে আসছেন আসারাম-কন্যা। ২০১৩ সালে আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরে ভারতীশ্রী আর তাঁর মা-কেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তাঁরা জামিন পান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here