জন্মের পর মানুষের বেড়ে ওঠা চিরন্তন ব্যাপার। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শারীরিক গড়ন, চেহারা, আচার-আচরণ ও স্বভাবেও আসে পরিবর্তন। শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্য, প্রত্যেকটা সময়ে মানুষের মধ্যে ভিন্নতা দেখা যায়। বিশেষ করে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা দেয়া মানুষের চেহারাই তার বাকি জীবনের পরিচয় বহন করে। এমনকি এই সময়কার চেহারার ধরণ সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়।
বয়সের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবার মধ্যেই আস্তে আস্তে বার্ধক্য আসে। তবে কেউ কেউ যেন বয়সকেও হার মানায়। নিজের তারুণ্য ধরে রাখার যাদুকরি কোনো উপায় যেন তাদের জানা থাকে। হ্যাঁ, এমন কয়েকজন তারকাকে নিয়েই এই আয়োজন। বয়স বাড়লেও যাদের রূপ-লাবণ্য কমে যায়নি। বরং পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে।

মৌসুমী
জন্ম ১৯৭৩ সালে। সেই মোতাবেক বয়স পেরিয়েছে ৪৪-এর ঘর। অভিনয় জীবনের বয়সও হয়েছে ২৫ বছরের বেশি। কিন্তু না, মৌসুমীর সৌন্দর্য কমেনি একটুও। তার সময়কার অধিকাংশ অভিনেত্রী বার্ধক্যে পৌঁছে গেলেও এখনো যেন তারুণ্যেই রয়ে গেছেন মৌসুমী। এখনো তার ভুবনভোলানো হাসি আর নজরকাড়া রূপে মুগ্ধ হয় সব বয়সী দর্শক।

পূর্ণিমা
বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় একজন নায়িকা তিনি। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে তার জন্ম ১৯৮১ সালের ১১ জুলাই। অর্থাৎ তার বয়স এখন ৩৬ বছর। ১৯৯৭ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক। তারপর টানা কাজ করেছেন ২০০৯-১০ সাল পর্যন্ত। এরপরেও তাকে দেখা গেছে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে। কিন্তু নিয়মিত হননি আর। বর্তমানে টিভি অনুষ্ঠান ও নাটকের কাজেই ব্যস্ততা তার। ৩৬ বছর বয়স হয়ে গেলেও পূর্ণিমার সৌন্দর্য হারিয়ে যায়নি। শরীরে আসেনি বয়সের ছাপ। বরং দিন দিন যেন আরো বেশি আকর্ষণীয় ও মোহময়ী হয়ে উঠছেন। অনেকেই বলেন, পূর্ণিমার আগের চেহারার চেয়ে এখনকার চেহারাই বেশি সুন্দর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও তার বর্তমান রূপ-লাবণ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হতে দেখা যায়।

জয়া আহসান
দুই বাংলায় তার সমান জনপ্রিয়তা ও সাফল্য। বয়স ৪৫! জন্ম ১৯৭২ সালে। কিন্তু চেহারা দেখে কারোর মনেই হবে না, তিনি এতো বয়সী একজন নারী। রূপ-লাবণ্যে এই সময়কার নায়িকাদেরও হার মানান জয়া। চলচ্চিত্রের পর্দা কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ রাখলেই দেখা যায়, জয়া আহসান যেন দিন দিন আরো বেশি সুন্দরিই হচ্ছেন। আর তাতে নিয়ম করে মুগ্ধ হচ্ছেন ভক্তরা।

সাদিয়া ইসলাম মৌ
দেশের নৃত্য ও মডেলিং জগতের অনন্য এক নাম সাদিয়া ইসলাম মৌ। সেই ১৯৮৯ সাল থেকে শোবিজে তার বিচরণ। এই সময়কার অনেক মডেলের আদর্শ মৌ। বর্তমানে কাজ কম করলেও তার প্রতি ভক্তদের ভালোবাসা ফুরিয়ে যায়নি। কারণ ৪১ বছর বয়সেও তিনি নিজের সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন। মোহময়ী চাহনী কিংবা আকর্ষণীয় শারীরিক গড়নে মাত করেন যে কাউকেই। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here