মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে বেসামরিক জনগণের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংস অভিযানের ঘটনায় জাতিসংঘের একজন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি কাচিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে রাজ্যটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি।
এর জের ধরে সেখানে সেনা অভিযানে ১০ বেসামরিক নাগরিক হত্যা করা হয়। এ সময় বহু মানুষ হতাহত হয়। এ ঘটনার জের ধরে দেশটির উত্তরাঞ্চলের ওই রাজ্য থেকে হাজার হাজার লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে গেছেন।

মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি বলেছেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে যে, মিয়ানমারের চীন সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী বোমা বর্ষণ করছে। একই সঙ্গে তারা ভারী অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর গুলি চালাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কাচিনে যা হচ্ছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য এবং অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। সেখানে নিরীহ জনগণকে হত্যা করা হচ্ছে, তাদের আহত করা হচ্ছে, হাজার হাজার পরিবার জীবন বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে।

সাধারণ জনগণ দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণে ভুগবে- এটা কখনই হতে পারে না। সবার অবশ্যই জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে হবে, বলেন লি।

জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, গত তিন সপ্তাহে চীনের সীমান্তবর্তী ওই গ্রাম থেকে ৫ হাজারের বেশি নিরীহ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বহু শিশু বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারী রয়েছেন।

লি আরও বলেন, তার কাছে রিপোর্ট আছে, মিয়ানমার রেডক্রসের জরুরি খাদ্যবাহী একটি গাড়িকে গত ২৩ এপ্রিল ওই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

গত ৩ সপ্তাহ ধরে শতাধিক সাধারণ মানুষ গ্রামটিতে খাদ্য, ওষুধ ও বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়াই আটকা পড়ে আছে। জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত আরও বলেন, সংঘাতে জড়ানো উভয় পক্ষের অবশ্যই মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোকে ছাড় দিতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, এ রকম পরিস্থিতিতে জরুরি ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়া যুদ্ধাপরাধের শামিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here