রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা ও গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের পাঁচ নেতা-কর্মী হত্যাকাণ্ডের পর সন্ত্রাসীদের ধরতে নানিয়ারচরে যৌথবাহিনী অভিযান চলছে। শুক্রবার (০৪ মে) বিকাল শুরু হওয়া এ অভিযান শনিবারও (৫ মে) অব্যাহত রয়েছে।

নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানান, বর্তমানে নানিয়ারচরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে নানিয়ারচরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করেছে।

তিনি জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ৫ জনের হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নানিয়ারচরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামানসহ পুলিশের দু’জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার শনিবার নানিয়ারচর পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, নানিয়ারচরের পর পর দু’টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর সর্বত্র আতংক বিরাজ করছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। নানিয়ারচরের একমাত্র সড়ক পথ রাঙ্গামাটি মহালছড়ি খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৩ মে) রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন।

এরপর শুক্রবার (৪ মে) শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্যে যাওয়ার পথে বেপরোয়া গুলিবর্ষণে ৫ জন নিহত এবং অন্তত ৮ জন আহত হন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন গণতান্ত্রিক ইউপিডিএফের আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা, জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) সমর্থক সেতু লাল চাকমা, যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য তনয় চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা যুব সমিতির সভাপতি সুজন চাকমা, সেতুলাল চাকমা ও তাদের বহনকারী গাড়ির চালক মো. সজিব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here