গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপির সংসদে যেহেতু কোন অবস্থান নেই সেহেতু নির্বাচনকালীন সরকারে তাদের থাকার কোন সুযোগ নেই।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিক সাগর-রুনি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রীতিলতা ওয়াদ্দারের ১০৭ তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।
কামরুলল ইসলাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তার দলের সংসদে যেহেতু কোন অবস্থান নেই সেহেতু নির্বাচনকালীন সরকারে তাদের থাকার কোন সুযোগ নেই। আমরা চাই সবার অংশগ্রহনমূলক একটি নির্বাচন।
বেগম খালেদা জিয়ার দন্ড যদি আদালত স্থগিত করেন তার জামিন দেন বা না দেন সেটা কোন প্রশ্ন না। তার দন্ড স্থগিত করলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তার দন্ড স্থগিত না করলে জেলখানায় থেকে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, যেই মামলায় তার (খালেদা জিয়া) সাজা হয়েছে সেটায় তিনি নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে গিয়েছেন। আশা করি তিনি ন্যায় বিচার পাবেন। তবে তার পক্ষে গেলেই ন্যায়বিচার হবে তার বিপক্ষে গেলে ন্যায় বিচার হবে না এটা কোন কথা হতে পারে না। বিএনপি খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসুক বা তাকে ছাড়া নির্বাচনে আসুক আমরা সেটা চাই। আমরা বুঝতে পারছি তারা পানি ঘোলা করে খাবে। তারা হয়ত শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। আমরাও সেটা চাই। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। সংবিধান সম্মত ভাবে নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন উপহার দেবে। নির্বাচন যদি কউ বানচাল করতে চায়, জনগনের জানমালের ক্ষতি করতে চায়, আগুন সন্ত্রাস করতে চায়, তাদের ছেড়ে দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে জনগন দাতভাঙা জবাব দেবে বলেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে কোন সংকট নেই সংকট রয়েছে বিএনপিতে।
তিনি বলেন, বিএনপির সংকট বিএনপিকে সমাধান করতে হবে। তাদের সংকট দলের চেয়ারপারসন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে দন্ড ভোগ করছেন। তাদের রাজনৈতিক দউলিয়াত্ব এমন পর্যায়ে গিয়েছে তারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানালেন তাকে যার বাংলাদেশে নাগরিকত্বই নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, জাতিসংঘের নির্ধারিত তিন তিনটি শর্ত শুধু পূরন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ বহুদূর এগিয়ে গিয়ে স্বল্প আয়ের দেশ থেকে এই বছরই উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তর হয়েছে। একশ বছর ধরে যেই দেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল সেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন হয়েছে, যেই দেশে জন্মের পর ৮০ শতাংশ ছিল দারিদ্র সীমার নিচে সেই দেশে এখন দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা ২০ শতাংশ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক সংসদ সারাহ বেগম কবরী উপস্থিত ছিলেন।