ইয়েমেনের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ সোকোত্রোর দখল নেওয়ার পর সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী আহমেদ ওবায়েদ বিন দাঘরসহ দশ মন্ত্রীকে দ্বীপ ত্যাগে বাধা দিয়েছে আমিরাতের সেনাবাহিনী। ইয়েমেনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আলজাজিরাকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার দ্বীপটিতে সফরে যাওয়ার পর শুক্রবার বের হতে চাইলেও প্রধানমন্ত্রীকে বের হতে দেওয়া হয়নি।

তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সিকে ইয়েমেনের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নায়েফ আল বাকরি বলেছেন, ইয়েমেনি জনগণ তাদের ভূমি রক্ষা করবে। দ্বীপ এবং উপকূলের এক বিন্দু বালু সমর্পণ করা হবে না। তবে এরই মধ্যে সেখানে মধ্যস্ততা করতে শুক্রবারই কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে সৌদি আরব।

ইয়েমেনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আলজাজিরাকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার দ্বীপটিতে সফরে যাওয়ার পর শুক্রবার বের হতে চাইলেও কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বের হতে দেওয়া হয়নি। ইয়েমেনের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নায়েফ আল বাকরি বলেছেন, ইয়েমেনি জনগণ তাদের ভূমি রক্ষা করবে। দ্বীপ এবং উপকূলের এক বিন্দু বালু সমর্পণ করা হবে না। সেখানে মধ্যস্ততা করতে শুক্রবারই কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে সৌদি আরব।

তিনি বলেন, ইয়েমেনের সরকার থাকা সত্ত্বেও সোকোত্রা দ্বীপের সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর দখল করেছে আরব আমিরাত। সোকোত্রায় আরব আমিরাত যা করছে, তা রীতিমতো আগ্রাসন।

এদিকে, ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় সোকোত্রা দ্বীপে তদন্ত কর্মকর্তাদের পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে সৌদি আরব।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সোকোত্রা দ্বীপে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে। এছাড়া দ্বীপটিতে জঙ্গি বিমান ও বড় ধরনের সামরিক যানের জন্য ৩ হাজার মিটার দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে।

তবে সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত এই দ্বীপটি ৯৯ বছরের জন্য ইজারা নেয়। সেখানে সামরিক অভিযান চলছে বলে নিশ্চিত করেছে আবু ধাবি।

দ্বীপের বাসিন্দারা বলেছেন, দ্বীপের সরকারি বিভিন্ন ভবনে বর্তমানে আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ছবি ও আমিরাতের পতাকা উত্তোলন করেছে। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপে বিরল এক সফরে গেছেন ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী দাঘর। সেখানে যাওয়ার পর দ্বীপের বাসিন্দারা প্রধানমন্ত্রী দাঘরকে স্বাগত জানান।

বৃহস্পতিবার এই দ্বীপে সেনা মোতায়েন করে আমিরাত। এদিকে, দ্বীপে আমিরাতের সৈন্য সমাবেশের নিন্দা জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ইয়েমেন ও দেশটির সাবেক প্রসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মানসুর আল হাদির সমর্থনে স্লোগানও দেন তারা।

হাদির সরকারের অন্যতম মিত্র আমিরাত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করছে। আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট হাদি নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে হুথিদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটও হামলা চালাচ্ছে। অন্যদিকে, হুথিদের ইরান সমর্থন দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে দক্ষিণ ইয়েমেনে প্রভাব বিস্তারের জেরে আব্দ রাব্বু মানসুর আল হাদি ও আরব আমিরাতের মধ্যে যে সম্পর্ক ছিল তাতে ফাঁটল ধরেছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই বলছে, আমিরাত দখলদারের মতো আচরণ করছে বলে অতীতে অভিযোগ করেছিলেন হাদি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here