যৌতুক নিয়ে কে উ মিথ্যা মামলা করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকার জরিমানার বিধান রেখে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন একটি বিধান রয়েছে খসড়া আইনে। মিথ্যা মামলা করলে শাস্তি হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আগে মিথ্যা মামলার জন্য আইনে কোনো বিধান ছিল না।’

‘মিথ্যা মামলা-সংক্রান্ত শাস্তির ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতি সাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে মামলা বা অভিযোগ করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নেই জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান তা হলে তিনি বা তারা অনধিক ৫ বছর মেয়াদের কারাদ- বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-িত হবেন।’

শফিউল আলম বলেন, মূল আইনটি একটি অর্ডিন্যান্স ছিল- দ্য ডাউরি প্রহিবিশন অর্ডিন্যান্স। প্রথমে ১৯৮০ সালে একটি আইন করা হয়। সেটা ১৯৮২ সালে একটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়। এরপর ১৯৮৪, ১৯৮৬ সালে সংশোধন করা হয় অর্ডিন্যান্স দিয়ে। এটাকে হালনাগাদ করার জন্য নতুন করে আইন করা হয়েছে’

আগের আইনের ধারাগুলো নতুন আইনে মোটামুটি একই রকম আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সামান্য একটু পরিবর্তন করে এটাকে আনা হয়েছে। বিভিন্ন অপরাধের মূল দ- আগের মতোই আছে। তবে জরিমানার ক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘যৌতুক দাবি করার দ- আগে ছিল এক থেকে ৫ বছরের কারাদ- বা জরিমানা। এখন দ- আগের মতোই তবে জরিমানা ফিক্সড করে দেয়া হয়েছে- সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা।’

‘যৌতুক দেয়া বা নেয়ার শাস্তি ছিল এক থেকে পাঁচ বছর কারাদ- বা জরিমানা। তবে জরিমানা নির্দিষ্ট করা ছিল না। নতুন আইনে কারাদ- ঠিক রাখা হয়েছে। তবে জরিমানা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা।’

শাস্তির ক্ষেত্রে যেখানে জরিমানার কথা বলা ছিল নতুন আইনে সেখানে পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সেটা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। শাস্তির ক্ষেত্রে জেল বা জরিমানা বা উভয় দ- হতে পারে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here