বাংলা খবর
রাজধানীতে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হাসানের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বিটিআরসি ও স্বজন পরিবহনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাজীবের দুই ভাই মেহেদী হাসান ও আবদুল্লাহ তার খালা জাহানারা পারভীন ও মামা জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আদেশে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ ও স্বজন পরিবহনের মালিককে ৫০ লাখ টাকা করে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৪ জুন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত।
আদালতের আদেশের পর রাজীবের ছোট ভাই মেহেদী সাংবাদিকদের কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে থাকি। কিন্তু এটা কেমন হলো। সেই স্বাধীন দেশে থেকে এরকম কাঁনতে হয়, এভাবে থাকতে হয়। যখন বাবা-মা কেউ ছিল না তখন আমার ভাই মা-বাবার দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন আমার পাথে থাকে খালারা। কিন্তু সেইতো আমার ভাইকে হারাতে হলো। জানি না আমার ভাইকে আর পাবো কিনা।’
গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় দুই বাসের চাপায় হাত কাটা পড়ে তিতুমির সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হাসানের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৬ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজীব।
দুর্ঘটনার পর ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রাজীবের চিকিৎসার খরচ স্বজন পরিবহন মালিক ও বিআরটিসিকে বহনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক কোটি টাকা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
পর ১৬ এপ্রিল রাজীব মারা যাওয়ার পর বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এর পর রাজীবের দুই ভাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন আদালত।