এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি টিএসসি-শাহবাগের রাস্তায় করার কথা থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড শাহবাগে অবস্থান নেয়ায় শিক্ষার্থীরা নিজেদের কর্মসূচিস্থল পরিবর্তন করে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ মানববন্ধন করতে বাধা দিয়েছে। এছাড়া শাহবাগেও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নামে একটি সংগঠন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে অবস্থান নিয়েছে। যদিও আমরা পরবর্তীতে নিজেদের কর্মসূচিস্থল পরিবর্তন করায় অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
মানববন্ধনে আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন বন্ধ করে পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে। তাদের আবার রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না। বৃহস্পতিবারের মধ্যে যদি প্রজ্ঞাপন জারি করা না হয়, তবে আগামী রোববার থেকে সারা দেশে ছাত্রসমাজের দাবানলে রাজপথ উত্তপ্ত হবে। তিনি বলেন, ‘সারা দেশের ছাত্রসমাজ ক্ষুব্ধ। ছাত্রসমাজ সব সময় আলোচনার পথ খোলা রেখেছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের যতবার ডাকা হয়েছিল আমরা ততবার গিয়েছি।’
কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘অহিংস ও শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আমরা চাই, সরকার যেন দ্রুত কোটা বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত কোটা বাতিলের কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন সরকারের ওপর আস্থা রেখেছি। সরকারকে সময় দিয়েছি। কিন্তু ২৮ দিন পার হওয়ার পরও প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এখন সরকার আমাদের সঙ্গে নাটক শুরু করেছে। প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। যদি কালকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হয়, তাহলে রোববার থেকে সারা দেশে ছাত্ররা রাজপথে নেমে আন্দোলন করবে। ছাত্র আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়বে।’