আকাশে স্বপ্নের স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় যুক্ত হলো আরও একটি অর্জন। বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত (শুক্রবার দিবাগত রাত) ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মহাকাশ কেন্দ্র স্পেস-এক্স থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে স্যাটেলাইটের যুগে প্রবেশ করলো বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
উৎক্ষেপণের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থানরত বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি প্রতিনিধি দলটিকে অভিনন্দন জানান।

এর আগে, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং কারিগরি ত্রুটির কারণে শুক্রবার রাতে দেশের প্রথম এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হয়নি। পরে রিজার্ভ ডে হিসেবে শনিবার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উৎক্ষেপণ হওয়া স্যাটেলাইটটির ধাপ এখন দুটি। প্রথম ধাপ লঞ্চ অ্যান্ড আরলি অরবিট ফেজ-এল.ই.ও.পি এবং দ্বিতীয় ধাপ স্যাটেলাইট ইন অরবিট। প্রথম ধাপে ১০ দিন ও পরের ধাপে ২০ দিন সময়ের প্রয়োজন। উৎক্ষেপণ স্থান থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে যাবে স্যাটেলাইটটি। ৩৫ হাজার ৭শ কিলোমিটার যাওয়ার পর রকেটের স্টেজ-২ খুলে যাবে।

স্যাটেলাইট উন্মুক্ত হওয়ার পরপর এর নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও কোরিয়ার ৩টি গ্রাউন্ড স্টেশনে যাবে। এ তিন স্টেশন থেকে স্যাটেলাইটটিকে নিয়ন্ত্রণ করে নির্দিষ্ট দ্রাঘিমাংশে এর নিজস্ব কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। স্যাটেলাইটটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে প্রায় ২০ দিন। এরপর সম্পূর্ণ চালু হলে এটির নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করা হবে।

গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় দু’টি গ্রাউন্ড স্টেশনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। নিয়ন্ত্রণের মূল কাজ হবে জয়দেবপুরের স্টেশনেই। আর বেতবুনিয়ার গ্রাউন্ড স্টেশনটি সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here