সুইডেনের অনূর্ব্ধ-১৯ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্য রনজা অ্যান্ডারসন ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি ওই ফুটবল দলের গোলরক্ষক। এর আগে কয়েক বছর ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা করেছেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার অ্যাবাউট ইসলামের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইডিশ গণমাধ্যম আফতনব্লাডেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘মুসলিম হওয়ায় আমি গর্বিত।’

উপ্পাসালা ওমেন’স ফুটবল টিমের সদস্য অ্যান্ডারসন বলেছেন, যখন তার বয়স ১৫, তখন এক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানেন। এরপর থেকেই তিনি ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা শুরু করেন এবং বুঝতে পারেন যে, ইসলাম একটি আলো।

তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারলাম, ইসলামে অনেক চমৎকার জিনিস আছে এবং সেগুলো আমাকে আকৃষ্ট করে। এরপর আমি ধর্মীয় (ইসলাম) বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দেই। মসজিদেও যাই।’

অ্যান্ডারসন আরো বলেন, ‘প্রথমে সবাই মনে করেছিল, আমি একমাত্র আমার বয়ফ্রেন্ডের কারণে ইসলাম গ্রহণ করেছি। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই ঠিক ছিল না। কারণ আমি তাকে (বয়ফ্রেন্ড) ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তাছাড়া এই সিদ্ধান্তের কারণে পরিবারসহ আশপাশের সকলের সমালোচনার মুখে পড়েন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রনজা দুঃখ করে বলেন, ‘তারা আমার বিরুদ্ধে সকল কুসংস্কার পোষণ করতে থাকে। এমনকি আমাকে ঘৃণা করতে থাকে।’ কিন্তু তারপরও মুসলিম হতে পেরে তিনি খুশি বলে জানান।

তিনি বলেন, ‘মুসলিম হওয়ার পর আমি বুঝতে পারলাম, আমি একটি চমৎকার ধর্ম গ্রহণ করেছি। আমি কুরআনের যাবতীয় বিধানে বিশ্বাস স্থাপন করি। আমি আল্লাহকে চিনি এবং তার সাহায্য কামনা করি।’

রনজা জানিয়েছেন, এখন তিনি ইসলামের যাবতীয় নিয়ম-কানুন মেনে চলার চেষ্টা করছেন। এরই অংশ হিসেবে চলতি বছর রোজা, যা আগামী বুধবার থেকে শুরু হতে পারে, রাখবেন বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ২০১১ সালের তথ্যানুযায়ী, সুইডেনের ৯০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ মুসলিম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here