ইসরায়েলকে একটি ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, তারা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে। লন্ডন সফরে তুর্কি শিক্ষার্থীদের সামনে ভাষণ দেওয়াকালে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন। এছাড়াও গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা করেছে আঙ্কারা। খবর: আনাদোলু এজেন্সি
জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী স্থানান্তরের কথা উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, মুসলিম বিশ্ব জেরুজালেম হারাবে তুরস্ক তা কখনও সহ্য করবে না।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে তুরস্কের হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের প্রতিবাদে সোমবার ইস্তানবুলে ছয় হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে প্রতিবাদ করেছেন। এদিকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের সময়ে গাজায় বিক্ষোভে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ৫৮ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর তুরস্ক ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাও ইসরায়েল থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে চলে আসতে বলেছে।
সোমবার তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী বেকির বোজডাগ বলেন, বর্তমানে তাদের রাষ্ট্রদূতরা ওয়াশিংটন ডিসি ও তেলআবিবে অবস্থান করছেন। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে পরামর্শের জন্য তাদের তুরস্কে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া আঙ্কারা ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এক জরুরি বৈঠকের আহ্বান করেছে। যেটি শুক্রবার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ইসরাইলের সাম্প্রতিক নির্বিচার ও গুরুতরও হামলার পর দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার তার রাষ্ট্রদূত সিসা নিগোমবানিকে চলে আসতে বলেছে। তিনি বলেন, জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের উসকানিমূলক উদ্বোধনীর প্রতিবাদে হতাহতরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের ওপর যে ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
শুক্রবার ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৫৮ জন নিহত ও ২৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। সোমবার মার্কিন প্রতিনিধি এবং ইসরাইলি নেতাদের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দূতাবাস উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী ঘোষণায় ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেইডম্যান বলেন, আজ আমরা ইসরায়েলের জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খুলছি।