ফারহানা মিলি একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ‘মনপুরা’ তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র । গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত এই ছবিটি ২০০৯ সালে মুক্তি পায়। প্রথম চলচ্চিত্র দিয়েই রাতারাতি তারকা বনে যান এই অভিনেত্রী। সবাই ভেবেছিল চলচ্চিত্রে নতুন এক তারকার জন্ম হলো। তবে তাদের এ আশা পূরণ হয়নি।
মিলি চলচ্চিত্রে নিয়মিত হননি। কখনো ভালো গল্পের অভাব, কখনো নির্মাতার ওপর আস্থা করতে না পারায় নতুন চলচ্চিত্রে কাজ করা হয়নি বলে জানান ‘মনপুরা’খ্যাত এই অভিনেত্রী। তবে এখনো তার চলচ্চিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। সেটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলে বরাবরই জানিয়ে আসছেন তিনি। এ কারণে মিলিভক্তদের মনে প্রশ্ন সেই অপেক্ষার শেষ কোথায়? সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকার চলচ্চিত্রে নানা ধরনের গল্পের সিনেমা নির্মাণ শুরু হয়েছে। সেসব চলচ্চিত্রে নেই তিনি। এ প্রসঙ্গে মিলি বলেন, নাটকে অভিনয় করতেই আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

এছাড়া ফিল্মের আগে থেকেই আমি ছোট পর্দার সঙ্গে জড়িত। বড় পর্দায় কাজ করবো না এটি আমি বলছি না। চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই। কিন্তু আবার কবে নতুন চলচ্চিত্রে আমাকে দেখা যাবে সেটি সময় বলে দেবে। এদিকে ছোট পর্দায় এই অভিনেত্রী এখন তিনটি ধারাবাহিকের কাজ করছেন। ধারাবাহিকগুলো হলো এস এম শাহীনের ‘সোনাভান’, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের ‘কাগজের ফুল’ ও সঞ্জিত সরকারের ‘মজনু একজন পাগল নহে’। প্রচার চলতি ধারাবাহিকগুলো প্রসঙ্গে মিলি বলেন, ধারাবাহিকগুলোর জন্য দর্শকের বেশ সাড়া পাচ্ছি। আমি একেকটি ধারাবাহিকে একেক রকম চরিত্রে অভিনয় করছি। গল্প ও চরিত্রে বৈচিত্র্য না থাকলে আমি কখনো সেই নাটকে অভিনয় করি না। এদিকে এরই মধ্যে তিনি আসছে ঈদের জন্য একাধিক নাটকের কাজ শেষ করেছেন বলেও জানান। উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো শামীম জামানের ছয় পর্বের ‘চুটকি ভাণ্ডার’, গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘জোড়া সাঁকো’, জাকিয়ুল ইসলাম রিপনের ‘প্রফেসর ডাব্লু’, একে শুভর ‘সে আমার মনচোর’ ও আলমগীর রুমনের ‘গুলজার’। আগামী মাসে বৃন্দাবন দাসের রচনা ও পরিচালনায় ঈদের আরো নাটকের শুটিং করবেন বলে তিনি জানান। ঈদের কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদের নাটকের প্রতি দর্শকের বরাবরই আগ্রহ থাকে বেশি। দর্শক নাটক দেখে আনন্দ পাবে তেমন গল্পের নাটকগুলোতে অভিনয় করছি। এরমধ্যে শুটিং শেষ হওয়া নাটকগুলোর গল্প ও চরিত্রে নতুনত্ব রয়েছে। ঈদে দর্শক আমার অভিনীত ভালো কিছু নাটক দেখবে বলে আশা করি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here