২০১৬ রমজানের প্রথম দিনে টুইটারে একটা ছবি পোষ্ট করেন মেসুতো ওজিল। যেখানে দেখা যায় ইফতারি সামনে নিয়ে অপেক্ষা করছেন ওজিল। গত ২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে জামার্ন ফরোয়ার্ড মেসুত ওজিল দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। ২০১৬ সালে পবিত্র ওমরা হজ্জ পালন করেছেন জার্মানীর এই ফরোয়ার্ড।
২০১০ সালের বিশ্বকাপ ওজিলকে গোল্ডেন বল অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করা হয়, যা টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়কে দেয়া হয়। ২০১০ সালে বিশ্বকাপে তার দারুণ পারফর্মেন্সে মুগ্ধ হয়ে স্পানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ওই বছরের আগস্ট মাসে তাকে দলে অন্তর্ভক্ত করে। ২০১৩ প্রথম কোন জার্মান খেলোয়ার হিসেবে রেকর্ড দামে ৪২.৫ মিলিয়ন ইউরোর মাধ্যমে তাকে দলে নিয়ে আসে আর্সেনাল।
ওজিল তার সহজসুলভ খেলার ধরন ও তাৎক্ষনিক চতুরতা জন্যে পরিচিত। তার শৈলী ও অন্য খেলোয়াড়কে গোলদানে সহায়তা করার ক্ষমতার জন্য রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক ম্যানেজার হোসে মরিনহো তাকে জিনেদিন জিদানের সাথে তুলনা করেছেন। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ আয় করা সকল অর্থ ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য দান করে দেন ওজিল। ইসলাম ধর্ম প্রেমী ওজিল বিভিন্ন সময় সমাজ সেবা মূলক কাজে অংশগ্রন করেন।
এছাড়া গত বিশ্বকাপে তিনি রোজা রেখে খেলা চালিয়ে যান। কোচের নিষেধাজ্ঞা পরও ২০১৬ সালের ইউরো কাপ চলাকালিন সময়ে ওজিল বলেছিলেন, ‘খেলা আমার জন্য ফরজ নয়, রোজা ফরজ। আমি রোজা রেখেই খেলা চালিয়ে যাব।’