মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগরে এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গায়ে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার মধ্য কামারগাঁও এলাকায় সংঘটিত নির্যাতনের ছবি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় মামলা করেন। পরে শ্রীনগর থানা পুলিশ মামলার এক নম্বর আসামি আ. খালেক (৫৫)কে গ্রেপ্তার করে গত শুক্রবার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, টাকাপয়সা লেনদেন ও জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ২৭শে মে বিকালে কামারগাঁও গ্রামের আজিজুল খানের স্ত্রী সালেহা বেগমকে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে শরীরে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। নির্যাতনকারীরা সালেহার যন্ত্রণা দেখে প্রবল উল্লাসে ফেটে পড়ে।
ওই সময় মোবাইল ফোনে সালেহার ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছেড়ে দেয় নির্যাতনকারীরা। এর দুই দিন পর সালেহা কামারগাঁও গ্রামের আ. খালেক (৫৫), জোসনা (৩৫), সাবানা (৪০), কাজল খান (৪৫), লিপি বেগম (৪৫), সোহেল (২৫), রুবেল (৩০)সহ মোট ৯ জনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার এসআই মোদাচ্ছের কৌশলে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান আসামি আ. খালেককে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আলমগীর হোসেন বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।