বিএনপির প্রধানতম এই সহযোগী সংগঠনটি এখন পরিচালিত হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতৃত্বে। এর প্রভাব পড়ছে সাংগঠনিক কার্যক্রমেও। ফলে দুর্বল হয়ে পড়েছে অতীতের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা এই সংগঠনের ‘চেইন অব কমান্ড’। এমন পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচন ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে  ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

অবশেষে দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার (৫ জুন ) সারাদেশে ২৪টি সাংগঠনিক ইউনিটের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। আংশিক কমিটিগুলোকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন অর রশিদ মামুন এবং সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান কমিটিগুলোর অনুমোদন দিয়েছেন।

এদিকে এই কমিটি দেয়াকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় অনেক নেতার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় এক সহ-সভাপতি জানান, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান কারাগারে রয়েছেন। ইতোমধ্যে তিনি সব মামলায় জামিন পেয়েছেন। দুই-একদিনের মধ্যে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। অথচ সভাপতির মুক্তির অপেক্ষা না করেই তাড়াহুড়ো করে কমিটি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় অনেক নেতা ভালোভাবে নেননি। তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, সভাপতির জন্য ২৯ মে থেকে অপেক্ষা করছি। কিন্তু জামিনের পরও সরকার তাকে ছাড়ছে না। এদিকে কমিটির জন্য কেন্দ্র থেকে চাপ থাকায় এ কমিটি দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রদলের আংশিক কমিটি হওয়া ২৪টি সাংগঠনিক ইউনিটগুলো হলো লালমনিরহাট, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুমিল্লা মহানগর, কুমিল্লা জেলা দক্ষিণ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, ঝালকাঠি, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, পিরোজপুর, মৌলভীবাজার, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর, নারায়ণগঞ্জ জেলা, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি।

প্রসঙ্গত, রাজীব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর ছাত্রদলের ১৫৩ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ৭৪৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। ওই বছরের ১৪ অক্টোবর এই কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এরপর গত দুই বছরেও নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই সময়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমেও ছাত্রদল বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেনি। বরং নেতৃত্ব দ্বন্দ্ব এবং ক্ষমতার কোন্দলে নিজেদের মধ্যেই একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছিলেন এই ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here