এ বিষয়ে বারভিডার সভাপতি হাবিবুল্লা ডন জানান, বৈদ্যুতিক গাড়িতে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় ব্যাটারিতে। আমরা এনবিআরকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম জাপান থেকে পুরোনো ব্যাটারি আমদানি করার। এসব ব্যাটারিতেও আমরা ৩ বছর ওয়ারেন্টি দিতে পারবো। নতুন ব্যাটারির দাম ৭ থেকে ৮ লাখ পড়ে যায়। পুরাতন ব্যাটারি আমরা বিক্রি করতে পারবো ২ থেকে আড়াই লাখ টাকায়। এভাবে শস্তায় বৈদ্যুতিক গাড়ি গ্রাহকদের দিতে পারলে দেশ উপকৃত হতো। একদিকে জ্বালানি তেলের আমদানি কমতো। পরিবেশের জন্য ভালো হতো।
এনার্জি এজেন্সির রিপোর্টে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ির বাজার চীনে বৈদ্যুতিক গাড়ির মার্কেট শেয়ার ২ দশমিক ২ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি চলে নরওয়েতে। সেখানে মোট গাড়ির ৪০ শতাংশ বৈদ্যুতিক গাড়ি।
সংস্থাটি দাবি করেছে ২০৩০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা হবে ১২৫ মিলিয়ন। কারণ জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও গ্রাহকদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনাতার কারণে আগামীতে বৈদ্যুৎ চলিত গাড়ির চাহিদা বাড়বে। ইউরোপীয় ই্উনিয়নের দ্বিতীয় গাড়ি প্রস্তুতকারী দেশে জার্মানি ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে ২০৪০ সালের পরে তারা ডিজেল ও প্রেটোল চালিত কোন ধরনের গাড়ি তৈরী করবে না।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ চলিত গাড়ির ব্যাটারির সবচেয়ে বড় উপাদান কোবাল্ট। ভাল কোবাল্ট পাওয়া যায় কঙ্গোতে।দেশটিতে মৌলবাদি হামলা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিশ্ব বাজারে কোবাল্ট সরবরাহে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।