সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে অনুপ্রবেশের অপরাধে ‘পেনকা’ নামে একটি গরুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল বুলগেরিয়ার আদালত। পশু অধিকার সংগঠনগুলোর অব্যাহত প্রতিবাদের মুখে অবশেষে গরুটি ফাঁসি থেকে রক্ষা পেয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

পেনকা নামে গাভীটির মালিক ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশ বুলগেরিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম কপিলোভস্তির বাসিন্দা ইভান হারামপিয়েভ। সীমান্তবর্তী এলাকায় হারামপিয়েভ গর্ভবতী গরুটিকে ছেড়ে দিয়েছিলেন বেশি করে ঘাস খেতে। পাল থেকে বের হয়ে গাভীটি গত ১২ মে পার্শ্ববর্তী দেশ সার্বিয়ায় ঢুকে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা পর গাভীটি আবার মালিকের কাছে ফিরে আসে।

তবে এতেই ঘটে বিপত্তি। কারণ, সার্বিয়া ইইউভুক্ত দেশ নয়। তাই ইইউ সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে অনুপ্রবেশ ও আবার ফিরে আসায় পেনকা ও তার মালিককে স্থানীয় আদালতে তলব করা হয়। পেনকার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপরই শুরু হয় শোরগোল। ইউরোপের অনেক দেশসহ সারাবিশ্বে মৃত্যুদণ্ড রদ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলার মুহূর্তে তুচ্ছ কারণে গাভীর মতো নিরীহ প্রাণীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। ইউরোপ জুড়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।

পিনকা’কে বাঁচাতে পশু অধিকার সংগঠনগুলোর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পিনকার জীবন বাঁচানোর দাবি ওঠে।

পশুপ্রেমী সংগঠনগুলোর সঙ্গে মাঠে নামেন বিটলস তারকা পল ম্যাকার্টনিও। রায় রিভিউ করার জন্য আবেদন করেন তারা। দেশ-বিদেশের নানা সংগঠনের আবেদনে মামলাটি পুনর্বিবেচনায় রাজি হয় বুলগেরিয়ার খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা। ফলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে গরুটি।

পেনকা’র জীবন বাঁচাতে শুরু থেকেই আন্দোলনে ছিল পশুপ্রেমী সংগঠন ‘ফোর পজ’। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, এভাবে পশু হত্যা করা নিষ্ঠুর কাজ। আইনের যে ফাঁক রয়েছে, এবার তা দূর হওয়া দরকার। হয়তো পেনকাই সেই পথ দেখাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here