প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এরদোগান এগিয়ে আছেন ৫৩% ভোটে। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এরদোগানের প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টির মুহাররেম ইনস পেয়েছেন ৩১% ভোট।

এরদোগান দাবি করেছেন, জোটের বাইরে দল হিসেবে এককভাবেই একে পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
আনাদলুর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত গণনা হওয়া ৯৬% ভোটে এরদোগানের একে পার্টিই পেয়েছে ৪৩% ভোট। আর প্রতিদ্বন্দ্বী এরদোয়ানের প্রতিপক্ষ মুহাররেম ইনসের রিপাবলিকান পিপলস পার্টি পেয়েছে ২৩% ভোট।

কিন্তু নির্বাচনে বেশ আশা সঞ্চার করলেও কুর্দি সমর্থিত পিপলস ড্যামোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে মাত্র ১০% ভোট। এরদোগান নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে তারা বলতে গেলে অসহায় পড়ে।

রবিবার একইসাথে সংসদীয় ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তুরস্ক জুড়ে ৫৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যালেট বক্সে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। আনাদলু জানায়, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৮৭%।

এবারের তুরস্কের নির্বাচন মূলত দুটি জোটে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি পিপলস অ্যালায়েন্স। এখানে আছে এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি ও গ্রেট ইউনিটি পার্টি। অপরটি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স। এছাড়া চারটি দল আছে- শক্তিশালী রিপাবলিকান পিপলস পার্টি, ফ্যালিসিটি পার্টি, আই পার্টি ও ডেমোক্রেটিক পার্টি।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে তুরস্কে জরুরী অবস্থা চলছে। চলমান নির্বাচনটি ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এরদোগান তা এগিয়ে নিয়ে আসেন।

পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে এরদোগান মন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্টসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরাসরি নিয়োগ দিতে পারবেন। একই সাথে তিনি দেশের আইনি ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা ও জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা পাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here