এসময় আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, সংঘাতপূর্ণ ও যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে তারা শান্তি রক্ষায় অনন্য অবদান রাখছেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশকে আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বিশেষ করে ফরাসী ভাষায় দক্ষতা অর্জনের ওপর জোর দেন তিনি ।
এদিকে পুলিশ প্রধান ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর জন্য আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের প্রতি অনুরোধ জানান। আইজিপি নারী পুলিশ বিশেষ করে এর সংখ্যা বাড়ানো এবং জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের অংশগ্রহণ বাড়ানোরও সুপারিশ করেন।
জানা গেছে, গত ৩০ বছর যাবৎ বিশ্ব শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জাতিসংঘ। ১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্ব শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা।
সূত্র জানায়, সেনা, নৌ, এবং বিমান বাহিনীর এক লাখ ২৮ হাজার, ৫৪৫ জন সদস্য ৪০টি দেশে ৫৪টি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৮৯ সাল থেকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৭৫ জন পুলিশ ২১টি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত আছে। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত।
সুত্র: আমাদের সময়