সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিএনপি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেছে। তাদের অভিযোগের ব্যাপারে আমি কোনো কিছু জানি না। জাল ভোটের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশ্বাসযোগ্য নয়।’

প্রার্থীদের দ্বন্দ্বের কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম হতে পারে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, একটা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলররা নির্বাচন করেন। তাদের দ্বন্দ্বের কারণে হয়তো ৯ কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে।

যে ৯ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত: ৯টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিতের কারণ হিসাবে রিটার্নিং অফিসার উল্লেখ করেছেন, দুস্কৃতিকারী কর্তৃক ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং ব্যালট বাক্সে জোর পূর্বক ভর্তি করায় ৯টি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই ভোটকেন্দ্রগুলোর ভোট স্থগিত করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসাররা। কেন্দ্রগুলো হলো:১৫নং ওয়ার্ডের ভোগড়া বাজার সংলগ্ন ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (কেন্দ্র-১,মূল ভবন), ২৬ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন মদিনাতুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসা (দোতলা পশ্চিম ভবন), ৩৭ নং ওয়ার্ডের কুনিয়া হাজী আ. লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ ও কেন্দ্র-২, ৪২ নং ওয়ার্ডের পূবাইলের বিন্দান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৮ নং ওয়ার্ডের টঙ্গীর জাহান পাবলিক দত্তপাড়া পুরুষ কেন্দ্র, ৫১ নং ওয়ার্ডের খরতৈল মনসুর আলী আদর্শ বিদ্যালয় কেন্দ্র-১ ও কেন্দ্র-২ এবং ৫৩ নং ওয়ার্ডের টঙ্গীর হাজী পিয়ার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ কেন্দ্র। স্থগিত হওয়া ৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৯৩৫ জন।

সূত্র: ইত্তেফাক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here