গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বরিশাল রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মেয়র পদে ৮ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৩৪ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৯জন মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন। মেয়র পদে ওই দুই নেতা ছাড়াও অন্য যারা মনোনয়নপত্র কিনেছেন তারা হলেন: বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, জাতীয় পার্টির (এ) কেন্দ্রীয় নেতা ইকবাল হোসেন তাপস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) বরিশাল জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মাওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুব, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের বরিশাল শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী ও খেলাফত মজলিস নেতা একেএম মাহবুব আলম।
এদিকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দু’দলের জনপ্রিয় দু’ নেতা প্রার্থী হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে বাড়তি প্রস্তুতি লক্ষ্য করা গেছে। নগরীর প্রবীণ ভোটারদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, মূলত লড়াই হবে সাদিক ও সরোয়ারের মধ্যে। আওয়ামী লীগ ও  বিএনপি’র ভোটারদের বাইরে সাধারণ ভোটারদের মন যে জয় করতে পারবেন তিনিই বসবেন নগর পিতার আসনে।
জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা বলেন, এখানকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাদিক আব্দুল্লাহ ও সরোয়ার দু’জনেই দু’ দলের নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বর্ষিয়ান সাংবাদিক অ্যাডভোকেট এসএম ইকবাল বলেন, মেয়র পদে তরুণ সাদিক আব্দুল্লাহ’র সঙ্গে অভিজ্ঞ সরোয়ারের এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তার মতে সাদিক আব্দুল্লাহ গত কয়েক বছর কাজ করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একত্রিত করেছেন। পাশাপাশি সরোয়ার এখানকার বিএনপি’র শীর্ষ নেতা। তাই মহানগর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র এ দু’ নেতার লড়াই হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জুলাই হবে বিসিসি নির্বাচন। মহানগরীতে এবার ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯ শ ৫৯জন।
সূত্র: ইত্তেফাক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here