ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে আগ্রাসীভাবে সুদ আদায় করায় ১৮ ব্যাংককে শোকজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সেই ব্যাখ্যা পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।

নোটিশ পাওয়া ব্যাংগুলো হচ্ছে এনসিসি, এনআরবি কমার্শিয়াল, ওয়ান ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ন্যাশনাল, মিডল্যান্ড, মধুমতি, স্ট্যান্ডার্ড, ইউসিবি, জনতা, ঢাকা, ইস্টার্ন, এক্সিম, আইএফআইসি, যমুনা, প্রিমিয়ার, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। অনুমোদিত সুদের মাত্রা অন্য ঋণের সর্বোচ্চ সুদহারের তুলনায় ৫ শতাংশ হলেও ব্যাংকগুলো আদায় করছে ৮ থেকে ১৬ শতাংশেরও বেশি।

সূত্র জানায়, ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে সহনীয় মাত্রায় সুদ আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ ব্যাংকই আগ্রাসীভাবে আদায় করছে। অন্যান্য ঋণের মধ্যে সর্বোচ্চ সুদের চেয়ে ক্রেডিট কার্ডে আরও ৫ শতাংশ বেশি সুদ আদায়ের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নীতিমালা লঙ্ঘন করে নোটিশ পাওয়া ১৮ ব্যাংক বেপরোয়া সুদ আদায় করছে।

চিঠি পাওয়া এক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে আমরা চিঠি পেয়েছি। সুদ বেশি হওয়ার যৌক্তিক কারণগুলো আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাব। নীতিমালার মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের সুদহার নামিয়ে আনার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।’

ক্রেডিট কার্ডের সুদহার সহনীয় মাত্রায় রাখার জন্য গত বছরের মে মাসে একটি গাইডলাইন্স জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে ভোক্তা ঋণের সর্বোচ্চ সুদহারের তুলনায় ক্রেডিট কার্ডে আরও ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া হয়। পরে ব্যাংকগুলোর চাপে তা ওই বছরে আগস্টে সংশোধন করে বিদ্যমান ঋণের মধ্যে সর্বোচ্চ সুদের সঙ্গে ৫ শতাংশ যোগ করে ক্রেডিট কার্ডের সুদহার নির্ধারণের সুযোগ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি থেকে এ নীতিমালা কার্যকর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তবে বিভিন্ন ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ক্রেডিট কার্ড আছে এমন ৩২টি ব্যাংকের মধ্যে ১৪টি ব্যাংক নীতিমালা অনুসারে সুদহার কমিয়েছে। অন্তত ১৮টি ব্যাংক ওই নীতিমালা লঙ্ঘন করে সুদ আদায় করছে। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here