সংসদ সদস্য পদটি এতোটাই লোভনীয় হয়ে উঠেছে যে এ নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছে নরসিংদীতে। নরসিংদী-২ (পলাশ ও সদরের একাংশ) নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এ দ্বন্ধে জড়ালেন সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ ও বর্তমানে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন। দু’জনেই এখন দলীয় নেত্রীর দিকে চেয়ে আছেন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ বিপুল ভোটে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ডা. আব্দুল মঈন খানকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জোট রক্ষায় আসনটি ছেড়ে দিতে হয় জাসদকে। এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হন জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা জায়েদুল কবির। দলের বাইরে গিয়ে নিজে প্রার্থী হতে না পেরে ছোট ভাই সার ব্যবসায়ী কামরুল আশরাফ খান পোটনকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাড় করান। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জায়েদুর কবিরকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রাজনীতি থেকে অনেক দূরের কামরুল আশরাফ খান পোটন। আর এটাই এখন গলার কাটা হয়ে গেছে ডা. দিলীপের জন্য।

গত সাড়ে চার বছর নির্বাচনী এলাকার দায়িত্ব সামলিয়ে অনেকটা লোভেই পড়ে গেছেন পোটন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি ভাইকে আর ছেড়ে দিতে রাজি হচ্ছেন না। তিনি নিজেই চাচ্ছেন আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে। আর এ জন্য গণসংযোগ ছাড়াও কেন্দ্রীয়ভাবে নানা চেষ্টা তদবির চালাচ্ছেন। নানাভাবে বিতর্কিত এ ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে নেমেছেন নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধেই। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নেত্রী যাকে দলীয় মনোনয়ন দেবেন তিনিই ভোট করবেন।

এ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ও ক্লিন ইমেজের মানুষ ড. আব্দুল মঈন খানের সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে লড়াইয়ে ডা. দিলীপের মতো ক্লিন ইমেজের প্রার্থী রেখে কামরুল আশরাফ খান পোটনকে প্রার্থী করা হয় কি-না সেটাই দেখার বিষয়। কামরুল আশরাফ খান পোটন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-বাফুফের সভাপতি পদে ব্যাপক ডাকঢোল পিটিয়ে নির্বাচন করলেও ভালো ফলাফল করতে পারেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here