গুগল ম্যাপস

অপরিহার্য একটি অ্যাপস। ব্যবহার করাও খুব সহজ। গুগল ম্যাপ এ একটি জায়গায় যাওয়ার কয়েকটি পথ নির্দেশনা দেখতে পাবেন আপনি। নতুন একটি শহরের কোথায় কোন খাবারের দোকান, কি কি আছে, যানজটের কি অবস্থা সবই দেখে নিতে পারবেন। কোনো জায়গার ম্যাপ চাইলে অফলাইনে সেভ করে রাখতে পারেন। দেখতে পারবেন যখন প্রয়োজন। আরও মজার ব্যাপার হল, বছরের আপনার সমস্ত গতিবিধি ট্রেক করতে পারবেন আপনি গুগল ম্যাপে।

গুগল ট্রান্সলেট

আরেকটি প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন হলো গুগল ট্রান্সলেট। বিভিন্ন ভাষা বুঝতে এবং দরকারি অনুবাদ করতে এ অ্যাপটি সাহায্য করে।

এক্সই কারেন্সি

যারা নিয়মিত বিদেশে যাতায়াত করেন তাদের জন্য এই অ্যাপটি বেশ উপকারী। কারণ এক্সই কারেন্সি দিয়ে পৃথিবীর যে কোনো দেশের কারেন্সি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য জরুরি ১০টি ‘ভ্রমণ অ্যাপস’

আবহাওয়ার খোঁজ-খবর জানিয়ে সাহায্য করতে পারে অ্যাকুওয়েদার অ্যাপ্লিকেশন। স্মার্টফোনে অ্যাপটি থাকলে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার আগেই জানা যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস।

স্কাইস্ক্যানার

চমৎকার একটি অ্যাপস। এর দুইটি ফিচার। এক. সার্চ এভ্রিহোয়্যার এবং দুই. চিপেস্ট মান্থ। প্রথম ফিচারে আপনি জানতে পারবেন বিশ্বের সবচেয়ে সস্তায় ভ্রমণযোগ্য এলাকা থেকে নামীদামী এলাকার খবর। র‍্যাঙ্ক করে সাজানো দেখতে পাবেন জায়গাগুলো।

দ্বিতীয় ফিচারটি মূলত তাদের জন্য বেশি কাজের যারা মাসের যেকোনো সময় বেড়াতে যেতে পারবেন। চাকরিজীবী বা যারা সাময়ে আবদ্ধ, নির্দিষ্ট দিন ছাড়া ছুটি পান না তারা এই সুবিধা নিতে পারবেন না। এই ফিচারটি মাসের সবচেয়ে সস্তা ফ্লাইটের খবর দেবে আপনাকে।

স্কাইস্ক্যানার এর আরেকটি চমৎকার ফিচার হলো প্রাইস এলার্ট। এটি প্রতি সকালেই আপনাকে সেই দিনের তথ্য দেবে। আপনি জানতে পারবেন কোনদিন রাউন্ড ট্রিপে আছে চমৎকার ছাড়।

মেডিসিফাই

ঘোরাঘুরির আনন্দে অনেকে সময়মতো ওষুধ খেতে ভুলে যান অনেকে। এসব ছোটখাটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সমাধান মিলবে মেডিসিফাই নামের অ্যাপে।

ট্রিপ-অ্যাডভাইজার

এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ভ্রমণ অ্যাপ। এটা দিয়ে হোটেল রেটিংস, ইউজার রিভিউ, ফ্লাইট সম্পর্কিত তথ্য, যেসব দর্শনীয় জায়গায় আপনি যেতে পারেন ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য দেয়া আছে।

এভারনোট

ভ্রমণকারীদের জন্য দারুণ একটি অ্যাপস। বিশেষ করে যারা ব্লগ লিখে থাকেন। এভারনোট এ আপনি বিশেষ কিছু নোট করতে রাখতে চাইলে সেটা করতে পারবেন, ছবি রাখতে পারবেন, ওয়েব পেজ সেভ করে রাখতে পারবেন। রেসিপি, জায়গাভিত্তিক টিপস, কোথায় কোথায় বেড়াতে যাচ্ছেন সব সরাসরি নেট থেকে সেভ করে রাখতে পারবেন বা লিখে রাখতে পারবেন। আপনি ট্যাগও দিতে পারবেন এবং আলাদা আলাদা নোটবুক তৈরি করতে পারবেন যার ফলে খুঁজে পেতেও সহজ হবে।

চমৎকার এই অ্যাপসটি আপনার সব কাজ দারুণভাবে গুছিয়ে রাখে। আপনি যদি ব্রাউজারে কিছু খুঁজতে যান তাহলে সেটিও অ্যাপসের মধ্য দিয়ে যায় এবং সম্পর্কিত সবকিছু খুঁজে আনে। এর ফলে একই বিষয় যদি আগেও খুঁজে সেভ করে রেখে থাকেন তাহলে পেয়ে যাবেন সহজেই। আপনি আপনার নোটবুকগুলো শেয়ারও করতে পারবেন।

ড্রপবক্স

ড্রপবক্স একটি ক্লাউড ভিত্তিক ফাইলিং সিস্টেম। আপনার দরকারি তথ্য, কাগজপত্রের কপি সবই এখানে জমা করে রাখতে পারবেন। যেকোনো স্থান, যেকোনো ডিভাইস থেকে প্রবেশ করে দেখতে পারবেন। ড্রপবক্স থেকে শেয়ার করাও সহজ। অনেক বড় বড় ফাইল থাকে যা মেইলে পাঠানো কঠিন। ড্রপবক্সে পাঠানো খুবই সহজ।

আপনি আপনার মোবাইলের সাথে ড্রপবক্স সিঙক্রোনাইজ করে রাখতে পারেন, এতে ছবিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ড্রপবক্সে আপলোড হয়ে যাবে।

ট্রিপইট

মজার এই অ্যাপসটি আপনার সব ভ্রমণ পরিকল্পনা জমা করে রাখে। গুছিয়ে রাখে সব কাজ। ফ্লাইটের সময়, হোটেল বুকিং নিশ্চিত হওয়া ইত্যাদি সবকিছুই মনে করিয়ে দেয়। মেইল আইডির সাথে লিঙ্ক করে দিলে যে কোনো বিষয় মেইল করে মনে করিয়ে দেবে অ্যাপসটি। পরের ভ্রমণের জন্যও আপনাকে প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে ট্রিপইট।

আপনার ট্রিপগুলো সহজেই পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন আপনি যেখানেই থাকুন না কেন! এতে পরিবারের দুশ্চিন্তাও থাকবে না আপনাকে নিয়ে।

প্রতিটি অ্যাপসেরই আরও অনেক কাজ আছে। একবার ব্যবহার করা শিখে গেলে এটি আপনার জন্য খুবই সহায়ক হবে। ব্যস্ত জীবনে আমাদের অনেক মজার মজার অভিজ্ঞতা হারিয়ে যায়, অ্যাপসগুলো ধরে রাখতে পারে সেই সব মুহূর্ত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here