আট বৎসর পূর্বে রমিজার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী তারিখে মারা যান।বাতেন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও ভাতা পাননি কখনো বাতেনের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৪ আগস্ট।

সূত্রে জানা যায়, বাতেন ৩নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেক্টর কমান্ডার আতাউল গণি ওসমানী নিজেই বাতেনকে সনদপত্র প্রদান করেছেন।বাতেনের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পড়শিপাড়া গ্রামে। পরে বাতেন হালুয়াঘাট চলে আসেন এবং হালুয়াঘাট অবস্থানকালেই তিনি মারা যান। মারা গেলে তার একমাত্র স্ত্রী রমিজা হালুয়াঘাটের মনিকুড়া গ্রামে তার মেয়ে শিউলির আশ্রয়ে থাকেন। পরে অভাবের তাড়নায় ঢাকা গিয়ে টোকাইগিরি করে নিজের পেটের খাবার জোগাড় করেন। গত বৃহস্পতিবার রাস্তায় বোতল টুকানোর সময় রমিজার সাক্ষাৎ মিলে। কথা বলে জানা যায় বিচিত্র রকমের তথ্য।

রমিজা বলেন, আমি আমার স্বামীর বৈধ কাগজপত্র নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও গিয়েছি। একজনে কাগজপত্র জমা রাইখা আমাকে পাঠাইয়া দেই। ভাতা অইবো কই।পরে ভাতা আর অইলনা। এছাড়া আরও কত মুক্তিযোদ্ধা নেতাদের কাছে গিয়েছি। সকলে শুধু আশাই দেই। ভাতা আর অইনা। কি আর করমু। অবশেষে ঢাকার বিশ্বরোড চৌরাস্তায় বোতল টুকাইয়া খাই। পেটতো চালান লাগবো। স্বামী আমার আট বৎসর অসুখে পইরা আছিলো। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনাই। আমার ৫ ছেলে ২ মেয়ে। ৩ ছেলে আরও মারা গেছে। ১৫ জন নাতী পুতিও আছে। কেডা কারে দেহে। সবারই অভাব।

জানা যায়, হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া আসনের সাংসদ জনাব জুয়েল আরেং এমপি তিনি নিজেও গত ২ জুলাই তারিখে রমিজার ভাতার জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত সুপারিশ করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here