একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনী ও তার দোসরদের হাতে নির্যাতিত আরও ৩৮ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৫৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি গেজেটও জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ২৩১ জন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সমকালে মুক্তিযুদ্ধে ১২৬ জন বীরাঙ্গনার অবদান ও দুঃখ দুর্দশা নিয়ে ১২ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট করে একটি বেসরকারি সংগঠন। ওই রিটে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি বীরাঙ্গনাদের স্বীকৃতি দিতে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করে সরকার। এরপর ২৩১ জনকে বীরাঙ্গনা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো।
স্বীকৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে সমকালে প্রকাশিত ৫৮ জন বীরাঙ্গনা রয়েছেন। বর্তমানে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক দশ হাজার টাকা ভাতা পান। গেজেটভুক্ত বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধারাও একই সমান ভাতা পাবেন। এ ছাড়া সরকারি চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবাসহ সকল ক্ষেত্রে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পান, তার সবটাই পাবেন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের সদস্যরা।