কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এবিসি ঘোনায় একই পরিবারের চার শিশু পাহাড়ধসে নিহত হয়েছে। নিহত চারজন ভাই-বোন। অন্যদিকে রামু উপেজলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানেরছড়া গ্রামে পাহাড়ধসে আরো এক শিশু নিহত হয়েছে।
এবিসি ঘোনায় নিহত চার শিশু হলো- ওই এলাকার জামাল হোসেনের মেয়ে মর্জিয়া আকতার (১৪), কাফিয়া আকতার (১০), আবদুল খাইর (৮) ও খাইরুন্নেছা (৬)।
নিহতদের মামা খোরশেদুল আলম জানান, মঙ্গলবার ভোরে ওই চার শিশুর মা বাড়ির বাইরে কাজ করছিলেন। হঠাৎ বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাহাড় বাড়ির উপর ধসে পড়ে। এতে ঘুমন্ত চার শিশু মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েও মানুষ ডাকা হয়।
স্থানীয়রা ওই চার শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কক্সবাজারের ইনচার্জ শেফায়েত হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে রামু উপেজলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পানেরছড়া গ্রামে পাহাড়ধসে মোর্শেদ আলম (৬) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। নিহত শিশু একই এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরাজুল হক টুটুল বলেন পাহাড়ধসে কক্সবাজার ও রামুতে ৫ শিশু নিহত হয়েছে।
কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ২২৮ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এভাবে বৃষ্টিপাত হলে আরো পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে।