ঠিকই একজোট হয়েছে পাকিস্তানের বড় দুটি রাজনৈতিক দল নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। ইমরান খানের নেতৃত্বে তৈরি হতে যাওয়া সরকারের বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে তারা। এ জন্য হাতে নেয়া হয়েছে ‘সমন্বিত যৌথ কৌশল’ বা কোঅর্ডিনেটেড জয়েন্ট স্ট্রাটেজি। এ নিয়ে দু’দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক হয়েছে রোববার। তাতে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের অনলাইন ডন।
জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিকের বাসভবনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্পর্কে পিএমএলএনের মুশাহিদ হোসেন সাইদ বলেন, এ বৈঠক ছিল একটি আইস-ব্রেকার। অর্থাৎ জমাট বাধা বরফ অবস্থার অবসান। বৈঠকটি অত্যন্ত ভাল হয়েছে। এটাকে আপনি বলতে পারেন অনেকগুলো মনের মিলন। তিনি আরো জানান ওই বৈঠকে দুই দলই সর্বসম্মতক্রমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে যে, ২৫ শে জুলাই পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত নির্বাচন চুরি করা হয়েছে। উভয় পক্ষই মনে করে নির্বাচনের ফল পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করা উচিত এবং এক্ষেত্রে যৌথভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমের কৌশল প্রণয়ন করতে হবে, যাতে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার কঠিন সময়ে পড়ে। তিনি আরো জানান, দু’দলের প্রতিনিধিরা সোমবার আবার বৈঠকে বসবেন। এরই মধ্যে মুত্তাহিদা মজলিশে আমল (এমএমএ) প্রস্তাব করেছে পার্লামেন্ট বর্জনের। সেই প্রস্তাবটি নিয়ে সোমবারের বৈঠকে আলোচনা হবে। তবে এরই মধ্যে পিপিপির প্রতিনিধিরা পিএমএলএন’কে জানিয়েছেন, তারা পার্লামেন্ট বর্জনের পক্ষে নন। রোববারের বৈঠকে পিপিপির পক্ষে যেসব প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি, শেরি রেহমান, কমর জামান কাইরা ও ফরহাতুল্লাহ বাবর। অন্যদিকে পিএমএলএনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মুশাহিদ হোসেন সাইদ, আয়াজ সাদিক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসি ও সরদার মাহতাব আহমেদ খান। পরে পিপিপি প্রতিনিধিরা কথা বলেন জমিয়াত উলমায়ে ইসলাম (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমানের সঙ্গে। তিনি পার্লামেন্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য তাকে অনুরোধ করেন পিপিপি প্রতিনিধিরা। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরি রেহমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here