সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নিলো সরকার। বর্তমানে এই বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য এই বয়সসীমা থাকবে ৩৪ বছর পর্যন্ত। জনপ্রশাসন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এটি বাস্তবায়ন হলে আগামি নির্বাচনের আগেই এ ব্যাপারে আসতে পারে সবুজ সংকেত।
এদিকে সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা করা হচ্ছে ৬১ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা করা হচ্ছে ৬২। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকারি চাকরিরত মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব প্রণয়ন করা হচ্ছে।

আগামী সোমবার না হলে পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা উত্থাপনের কথা রয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা বিবেচনায় রেখেই এই প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করছেন। এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশে চাকরিতে বয়সের সীমাও আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। এমনকি কোন কোন দেশে অবসরের আগের দিন পর্যন্ত চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।

অন্যান্য দেশগুলোর পরিসংখ্যা অনুযায়ী, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৪০, বিভিন্ন প্রদেশে বয়সসীমা ৩৮ থেকে ৪০, শ্রীলংকায় ৪৫, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫, ইতালিতে ৩৫ বছর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩৮। ফিলিপাইন, তুরস্ক ও সুইডেনে যথাক্রমে সর্বনিম্ন ১৮, ১৮ ও ১৬ এবং সর্বোচ্চ অবসরের আগের দিন পর্যন্ত। আফ্রিকায় চাকরি প্রার্থীদের বয়স বাংলাদেশের সরকারি চাকরির মতো সীমাবদ্ধ নেই।

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছিল। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এ প্রস্তাবের পক্ষে বিভিন্ন জেলা-প্রশাসকরা সমর্থন দিয়েছিলেন।

প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তারিখে ২০১১ অধ্যাদেশ মোতাবেক সরকারি কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বয়সসীমা ৩০ বছরই রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here