তৈয়বুর রহমান টনি নিউ ইর্য়ক থেকে: ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে সারা বিশ্বে যাথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ। কোরবানির ঈদের সাথে জড়িত রয়েছে হজরত ইব্রাহিম ও হযরত ইসমাঈল আ:-এর অতুলনীয় ত্যাগের স্মৃতি। পিতা-পুত্রের সেই ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানির মাধ্যমে পালন করা হয় এ উৎসব। আমেরিকা সহ বিশ্ব মুসলিম উম্মার ঐক্য ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় ঈদের জামাতে।

ঈদ মানেই উৎসব। ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদ প্রতিবছর নির্দিষ্ট তারিখে নির্দিষ্ট রীতিতে এক অনন্য আনন্দ- বৈভব বিলাতে ফিরে আসে।

ধনী-গরীব সবাই মিলে এক কাতারে শামিল হয়ে ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। মনে রাখতে হবে, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই যেন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারেন সেই প্রচেষ্টা থাকতে হবে।

দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উৎসবমুখর পরিবেশে প্রবাসে পবিত্র ঈদুল-আজহা উদযাপিত হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের আশায় দেশের ধর্মপ্রাণ কোটি মুসলমান ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। বিপুল উৎসাহে যথাযোগ্য মর্যাদা আর ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকায় ২১ আগষ্ট মঙ্গলবার ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঈদ জামায়াতে যেতে পারায় প্রবাসীদের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলসমূহে ঈদের দিন ছুটি থাকলেও সেটি কাজে লাগলো না এবার সামার ভেকেশানে ঈদ হওয়ায়। সর্বত্রই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

চমৎকার আবহাওয়ায় নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার একাধিক খোলা মাঠ, মসজিদ আর কমিউনিটি সেন্টারে ঈদুল আজহা নামাজ আদায় করা হয়। ঈদের জামাত শেষে অনুষ্ঠিত বিশেষ মুনাজাতে সমগ্র মুসলিম উম্মাসহ দেশ-জাতির মঙ্গল ও সমৃদ্ধি এবং দেশে দেশে নিপীড়িত-নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ষায় মহান আল্লাহতায়ালার রহমত ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

এরপর লোকজন কোলাকুলির মাধ্যমে পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদের নামাজের পরপরই শুরু হয় পশু কোরবানির পর্ব। কোরবানিকৃত পশুর তিন ভাগের এক ভাগ নিজেরা রেখে বাকি দুই ভাগ নিকট আত্মীয়স্বজন ও গরিব প্রতিবেশী, দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা এ উৎসবের অন্যতম একটি রেওয়াজ। কিন্তু প্রবাসে গরিব না থাকায় প্রতিবেশীদেরকে মাঝে বিতারন করা হয়।

নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশীদের দ্বারা পরিচালিত বৃহত্তম মসজিদগুলোর অন্যতম কুইন্স বরোর জ্যামাইকায় অবস্থিত জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টার (জেএমসি)-এর উদ্যোগে স্থানীয় জ্যামাইকা হাই স্কুল মাঠে সকাল ৯টায় উত্তর আমেরিকার সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিশু-কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সর্বস্তরের এবার ৪/৫ হাজার মুসলিম নর-নারী একত্রে ঈদুল আজহা নামাজ আদায় করেন বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন। এই জামাতে ইমামতি ও বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন জেএমসি’র খতিব হাফেজ মুজাহিদুল ইসলাম। জেএমসি আয়োজিত ঈদুল আজাহ নামাজের আগে জেএমসি’র কর্মকর্তা ও মূলধারার রাজনীতিকরা উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

ঈদের জামাতের আগে জেএমসি’র কর্মকর্তাদের মধ্যে জেএমসি’র সভাপতি খাজা মিজান হাসান এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর, নিউইয়র্কের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ক্যাথি হকোল,প্রেসিডেন্ট, কুইন্স ব্যুরোর প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কাটজ বলেন, ‘আমি নিজেকে মুসলমান কমিউনিটিরই একজন মনে করি। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি মুসলমানদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। এজন্য আমি শুধু ধন্যবাদ দেয়াটা পর্যাপ্ত মনে করি না। আমরা কৃতজ্ঞ। সব সময় আপনাদের পাশে আছি।’ মূলধারার রাজনীতিকদের মধ্যে নিউইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রীঙ্গার, নিউইয়র্ক ষ্টেট অ্যাসেম্বীম্যান ডেভিড ওয়েপ্রীন ও নিউইয়র্ক সিটির স্থানীয় সিটি কাউন্সিলম্যান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here