শুক্রবার সকালে ধানমণ্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সংগঠনের নেতারা।
এ বছর কাঁচা চামড়ার দরপতনে, কোরবানির পশুর চামড়ার কম দাম পেয়েছে সাধারণ মানুষ। আবার অনেক ফড়িয়া এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীও বিভিন্ন স্থান থেকে চামড়া কিনে এনে লোকসানে তা বিক্রি করেছে আড়ৎগুলোতে। দামের অস্থিরতার জন্য ট্যানারি মালিকরা দুষছেন পাড়া-মহল্লার সিন্ডিকেটকে।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ বলেন, ‘এখানে পাড়া-মহল্লাভিত্তিক সিন্ডিকেট হয়। এখানে দেখা যায়, রাজনৈতিক কর্মীবাহিনী, সামাজিক ক্লাবভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন- এলাকাভিত্তিক চামড়ার দাম তারা কন্ট্রোল করে। এখানে তারা যদি ২০০-৩০০ টাকা করে ক্রয় করে, ট্যানারি মালিকদের এখানে কী করার আছে?’
তবে পরবর্তী সময়ে যখন ট্যানারিগুলো কাঁচা চামড়া কেনা শুরু করবে, তখন বেঁধে দেওয়া দাম মাথায় রেখেই চামড়া কেনা হবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
চামড়া ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা যাতে চিন্তিত না হন। কারণ, দুই থেকে তিন মাস চামড়া সংগ্রহ করে রাখা যায়। আমরা মনে করি, যদি তাঁরা চামড়াটা সঠিকভাবে সংগ্রহ করে রাখেন তাঁরা উপযুক্ত দাম পাবেন এবং পাশাপাশি আমাদের বেঁধে দেওয়া দামের মধ্যে আমরা ক্রয় করব। আমরা এর কম কোনোভাবেই দেব না।
‘এক মাস অন্তত সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হোক, যাতে কঠোরভাবে চামড়া পাচার রোধ করা যায়’, যোগ করেন শাহিন আহমেদ।
চামড়া শিল্পে বর্তমান অস্থিরতার জন্য বিসিককে দায়ী করে ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন। সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে অব্যবস্থাপনা চলতে থাকলে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় সংগঠনটি।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সার্বিক অর্থে পরিবেশবান্ধব শিল্পনগরীর আশায় সেখানে গিয়েছি ওখানে, আসলে আমরা যে বিনিয়োগ করেছি, সেটা ভুল বিনিয়োগ হিসেবে আমরা মনে করি করা হয়েছে।’
সাভারে স্থানান্তর, নিজেদের পুঁজি সংকট এবং আন্তর্জাতিক বাজারের দামসহ নানা কারণে এ বছর চামড়ার দাম কম নির্ধারণ করা হয়েছিলো বলেও জানায় ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন।