অন্ত:সার শূণ্য যুক্তফ্রন্ট

0
1131

ড. সিদ্দিকুৱ ৱহমান

তৃতীয় স্রোত আখ্যা দিয়ে বিকল্প ধারার এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে যে তথাকথিত যুক্তফ্রন্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এটি আদতে একটি অন্ত:সার শূণ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পর্যবসিত হবে বলেই আমাৱ দৃঢ় বিশ্বাস। প্রথমত: ১৯৫৩ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিমলীগের নেতৃত্বে অন্যান্য দল মিলে যুক্তফ্রন্ট নামীয় একটি সমন্বিত বিরোধী রাজনৈতিক মন্চ গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন স্বনামধন্য নেতা মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ।

যুক্তফ্রন্টের ২১ দফার নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে প্রধান দাবিগুলো ছিল লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পূর্ব বংগকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা, বাংলা ভাষাকে রাস্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও সাধারন ছুটি ঘোষণা করা এবং ভাষা শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্তে শহীদ মিনার নির্মান করা ইত্যাদি।

সেই যুক্তফ্রন্ট গঠন করা এবং ইশতেহারের দাবীগুলো ছিল অত্যন্ত যৌক্তিক এবংজনগনেৱ কল্যানৰ্থে কিন্ত আজ দেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশীয় রাজনীতিতে গত এক দশকে যে সমস্ত রাজনীতিবিদ দেউলিয়াত্বের শেষ সীমায় পৌঁছেছেন তাদের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠন হাস্যস্পদ ছাড়া আর কিছুই নয় ।

১৯৫৩ সালের প্রেক্ষাপট এবং এখনের প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন । বর্তমানে গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত একটি সরকার অত্যন্ত সাবলীল ভাবে দেশ পরিচালনা করছে এবং নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ তাদের তত্বাবধানে সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচনের আয়োজন করবে এর কোন ব্যতায় হবে না ।

গত এক দশকেরও অধিক সময় যাবত তথাকথিত যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যন বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গন ফোরামের ড.কামাল হোসেন, জাসদের আ স ম রব, আব্দুল মালেক রতন, বিকল্প ধারার মহা সচিব আব্দুল মান্নান, গন ফোরামের মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহিদুর রহমান প্রমুখ স্বঘোষিত নেতাদের কোন উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক কর্মকান্ড দেখা যায়নি এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে এদের কোন গ্রহনযোগ্যতাও নেই, আর তাই এই তৃতীয় স্রোত একটি নামসর্বস্ব অন্ত:সার শূণ্য ফ্রন্ট হিসেবেই পরিগনিত হবে ।

লেখক:

সভাপতি
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here