সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আমাদের পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করব, সংগঠিত করব। এটি স্বাভাবিক। আমরা বিভিন্ন স্টেশনে সংশ্লিষ্ট নেতাদের ডেকে কথা বলেছি। তাদের সতর্ক করে দিয়েছি। কিছু প্রকাশ্যে করেছি, কিছু এনে ডেকে। তারা হয়তো দুই-একটা স্টেশনে আমাদের সঙ্গে ছিল। তাদেরকে বুঝিয়েছি। এখানে এত মানুষ হবে, আমি নিজেও কল্পনা করিনি; আমার সহকর্মীরাও কেউ ভাবতে পারেনি।’
গতকাল শনিবার সকালে ট্রেনে চড়ে উত্তরাঞ্চলে ‘নির্বাচনী যাত্রা’ শুরু করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সকাল ৮টায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে উত্তরাঞ্চলগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে রওনা হন আওয়ামী লীগের নেতারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সফরে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। ঢাকা থেকে নীলফামারী যাওয়ার পথে ১০টি স্থানে পথসভা করে তারা। এগুলো হলো টাঙ্গাইল, পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোর, বগুড়ার সান্তাহার, জয়পুরহাট, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর, দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুর এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর স্টেশন।
শনিবার রাত সোয়া ৯টায় সৈয়দপুর রেলস্টেশনে সর্বশেষ পথসভা হয়। সেখানে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তরুণ ও মহিলাদের ভোটই এবার আওয়ামী লীগের হাতিয়ার। নেতিবাচক রাজনীতির ভোট আর নাই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল কথায় কথায় শুধু লাফায়। তাই বিএনপির আন্দোলন এখন মরা গাঙে পরিণত হয়েছে। ওই মরা গাঙে আর জোয়ার আসে না।’