‘শাহেনশাহ’ ছবির মাধ্যমে নবাগত নায়িকার তকমা লাগাতে চলেছেন রোদেলা জান্নাত। আর প্রথম ছবিতেই নায়ক হিসেবে পাচ্ছেন ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে। তাই কিছুটা নার্ভাসও তিনি। ছবি এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- শামছুল হক রাসেল
সাক্ষাৎকারটি বাংলা খবর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল।
প্রথম ছবিতে ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান-বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?

বলতে পারেন, একজন নিউকামারের জন্য এটা স্বপ্ন। একজন নতুন, যে কিনা হিরোইন হতে চায় তার জন্য এটা অনেক বড় পাওয়া। যখন ভাবি, তার সাথে স্ক্রিন শেয়ার করতে হবে তখন বেশ নার্ভাস ফিল করি। আমি তো আপনার প্রশ্ন শুনেই ইতোমধ্যেই নার্ভাস হয়ে গেছি। কি হবে? যখন ক্যামেরার সামনে, এতগুলো মানুষের সামনে দাঁড়াবো। যদিও আমি ভেবেই নিয়েছি, এটা কোনো ব্যাপার না। ইনশাআল্লাহ, আমি পারবো।

শুটিংয়ের জন্য প্রাথমিক কোনো প্রস্তুতি নিয়েছেন কী?

লাস্ট তিন মাস ধরে ড্যান্সের ওপর তালিম নেওয়া হচ্ছে। যেহেতু আমার ক্লাসিক্যাল বেস ছিল, তো ওয়েস্টার্ন বেস বা আমাদের ফিল্মে যে ধরনের ড্যান্স ব্যাবহার করা হয় ওইগুলোর ওপর ট্রেনিংয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বুলবুল ললিতাকলা একাডেমি থেকে কথক নৃত্য শেখা আছে আমার।

এ তো গেল নাচের প্রস্তুতি, আর অভিনয়…

আমি ড্যান্সিংয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। অন্যদিকে, অভিনয়ে যেহেতু কোনো ইনস্টিটিউটাল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, তাই নিজেই আয়ত্ত করার চেষ্টা করছি। তাছাড়া শাকিব স্যার আমাকে বলেছেন, ”বিভিন্ন ক্যারেক্টার পিক করে ওই ক্যারেক্টারগুলোতে নিজেকে ঢালার চেষ্টা করবে এবং তা আয়নার সামনে বার বার অনুশীলন করবে। তাহলে তুমি নিজেকে ভাঙতে পারবে। নয়তো বেসিক রোলটা কথনো ভাঙতে পারবে না, ওরকমই থেকে যাবে।” সেই কথা মাথায় রেখে নিয়মিত আয়নার সামনে অনুশীলন করছি।

অভিনয়ে আসাটা আপনার পরিবার কীভাবে দেখছে?

আলহামদুলিল্লাহ, আমি অনেক লাকি। আমি পরিবারের সমর্থন পেয়েছি। আব্বুর একটু মনোমালিন্য ছিল। আব্বু সর্বদা চাইতেন, আমরা দুই ভাই-বোন যাই করি যেন কনফিডেন্টলি করি। আব্বু শেষ পর্যন্ত অনুমতি দিয়েছি। পরিবারের সবাই খুব প্রশংসা করেছে। তাই এক্ষেত্রে আমি খুব লাকি।

ফিল্মপাড়ায় স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা…

ইতোমধ্যে আমার রানিং একটা ক্যারিয়ার আছে, পিএইচডিও করছি। বলতে পারেন, আমার জন্য ফিল্মটা একটা প্রজেক্ট। এটা রিসার্চ হিসেবেই নিয়েছে। লেভেলবেস্ট চেষ্টা করবো ভালো করতে। কিন্তু এটার আউটপুট দেখার পর সিদ্ধান্ত নেব ফিল্মপাড়ায় থাকা উচিত, কি উচিত না। কোনো কাজের ফলাফল না দেখে ওই বিষয়ে দীর্ঘ পরিকল্পনা করা উচিত বলে মনে করি না।

আপনিও সংবাদ পাঠিকা ছিলেন, তাহলে বুবলী অনুপ্রেরণা?

বুবলী আপুকে অনেক পছন্দ করি। তিনি সুইট একটা মেয়ে। তাকে দেখে অবশ্যই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। কারণ এর আগে আমাদের দেশে এই ট্রাডিশন ছিল না। যারা টিভিতে নিউজ পড়তেন, তাদের কেবল নিউজেই দেখতাম। ছোটবেলা থেকে সেটা দেখেই বড় হয়েছি। নিউজ থেকে বুবলী আপুর ফিল্মে আসাটা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাকে দেখে ভালো লেগেছে। ওই সময় মনে হয়েছে- বাহ, নিউজ প্রেজেন্টারাও তো হিরোইন হতে পারে।

এবার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন?

আমার হোম ডিসট্রিক্ট বরিশাল। আর স্কুল-কলেজ বিএফ শাহীন, ঢাকা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ এবং এমবিএ করেছি। এরপর সেখান থেকে মালয়েশিয়ার লিমককউইং ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিতে চলে যায়। সেখানে বিজনেস আইটিতে রিসার্চ করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here